Des Wa -এর মিথ্যাচার দেখতে এখানে ক্লিক করুন
রাজারবাগী পীরের ভক্ত Des Wa তার মিথ্যাচারে ভর্তি নোটের তৃতীয় পয়েন্টে দাবী করেছে, দেওবন্দীরা কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা কর্তৃক নির্যাতনের প্রতিবাদ তো করেনি; উল্টো সাফাই গেয়েছে। সে লিখেছে “জোর করে কাশ্মীরকে আটকে রেখেছে হিন্দুত্ব-বাদী ভারত। মুসলমানদের মেরে কেটে একাকার করছে তারা। সারা বিশ্ব এই নিপীড়নের নিন্দা করলে, এর পক্ষে উল্টো সাফাই গেয়েছে বিবেকহীন দেওবন্দীরা। তারা বলেছে এই কাশ্মীর নাকি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।>(এখানে ক্লিক করুন)
অথচ বাস্তব সত্য হচ্ছে, কাশ্মীরের মুসলমানদের পক্ষে একমাত্র দেওবন্দীরাই লড়াই করছে। একটু ভাবলেই এই সত্যটুকু সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে।
কাশ্মীরে বর্তমানে তিনটি দল পৃথকভাবে লড়ছে। ১) ভারত। ২) পাকিস্তান। ৩) জয়শ-ই মুহাম্মাদ।
ভারত আজাদ কাশ্মীরকে দখল করতে চায়। পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীরকে দখলে রেখে মূল কাশ্মীর অধিগ্রহণ করতে চায়। জয়শ-ই মুহাম্মাদ কাশ্মীরে মুসলমানদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। >(এখানে ক্লিক করুন)
ভারত-পাকিস্তান ১৯৪৭ সাল থেকেই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যর্থ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। (দীর্ঘদিন থেকে পাকিস্তানের কাশ্মীর বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন পাকিস্তান জমিয়েতে উলামার সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান। >এখানে ক্লিক করুন)
>২০১০ সালের দেওবন্দে কাশ্মীর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কাশ্মীরে ভারতীয় নীতির নিন্দা জানিয়ে সরকারের প্রতি জোরালো দাবী জানানো হয় যে, কাশ্মীর প্রশ্নে সরকার যেন বিপক্ষ শক্তির সাথে তড়িঘড়ি করে আলোচনা করে। জনগণকে হয়রানী বন্ধ করে।
ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা অপরিচিত ওয়েব সাইট নয়, খোদ দেওবন্দীদের দ্বারা পরিচালিত সাইটে সেই কনফারেন্সের বিস্তারিত এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন। সেমিনারের প্রেস রিলিজ এবং রেজুলেশন ভালোভাবে পড়ুন। অতঃপর সাহস থাকলে দেওবন্দীরা ভারতের অন্যায় নীতির পক্ষাবলম্বন করছে প্রমাণ করুন।
আরেকটু ভাবি> দেওবন্দের সাথে ফজলুর রহমান সাহেবের সম্পর্ক এতো গভীর যে, প্রায়ই তিনি দেওবন্দ ভ্রমণ করেন। পাকিস্তানের কাশ্মীর বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও দেওবন্দের সাথে সুসম্পর্ক প্রমাণ করে, দেওবন্দীরা কাশ্মীরের মুসলমানদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সমর্থন করেননি। >(এখানে ক্লিক করুন (ভিডিও))
Des Wa ‘র আরেকটি দাবী হচ্ছে, দেওবন্দীরা ভারতকে দারুল আমান বলে ঘোষণা দিয়ে মুসলমানদেরকে জিহাদ থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সে লিখেছে “শুধু তাই না ভারতে মুসলমানরা এত নির্যাতিত হওয়ার পরও তারও তারা বলেছে ভারতে মুসলমানদের জিহাদ করার কোন দরকার নেই। তারা উগ্রহিন্দুত্ববাদী বিশ্বহিন্দুপরিষদের অনুরোধে ভারতকে দারুল আমান বলে ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে জিহাদের কোন প্রয়োজন নেই। (এখানে ক্লিক করুন)। তাদের এ ভুল ফতওয়ার কারণে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়ে।”
এমন হাস্যকর দাবী একমাত্র নির্লজ্জদের পক্ষেই করা সম্ভব। এশিয়ার যেখানেই মুসলমানরা লড়ছে, সব জায়গাতে একমাত্র দেওবন্দীরা লড়াই করছে। তালেবানদের আদর্শ জানতে পড়ুন (মুফতি জামীল খানের> তালেবান,মিসালে হুকুমত মিসালে হুকুমরান)
কাশ্মীর মুজাহিদদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার হযরত মাওলানা ইউসুফ বানূরী (রহঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামিয়া উলূমুল ইসলামিয়া বানূরী টাউন করাচীতে পড়ালেখা করেছেন। তাঁর মতাদর্শ সম্পর্কে জানতে এই তথ্যটুকুই কি যথেষ্ট নয়! (দেখুন মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিচিতি)
বাস্তবতা তো হচ্ছে, দেওবন্দীরা কথায় নয় কর্মে বিশ্বাসী। এর প্রমাণ হচ্ছে, আফগান, কাশ্মীর, আরাকানের রণাঙ্গনে দেওবন্দীদের কার্যক্রম।
অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইসলামের দাবী। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের রক্ষার্থে দেওবন্দীরা প্রাণপণে লড়াই করছে। এর ভূরি ভূরি প্রমাণ অনলাইনেও রয়েছে। এখন জিহাদের ডাক দিয়ে ভারতে লড়াই করা আত্মহত্যা তুল্য। এই বোধটুকু দেওবন্দীদের ভালোমতো আছে। ইসলাম কখনো নিজেকে ধ্বংস করতে নির্দেশ দেয়নি।
দেওবন্দী বলতে শুধু যারা দেওবন্দে বসবাস করে তাদের বুঝায় না, এই সহজ কথাটুকুও দেওবন্দ বিরোধিদের জানা নেই। রাজারবাগের মতো দেওবন্দ কেবল একটি স্থানের নাম নয়; দেওবন্দ একটি আদর্শ। একটি শক্তি। একটি দল। যারা পুরো বিশ্বজুড়ে দ্বীনের সেবায় নিয়োজিত। সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন পন্থায় দেওবন্দীরা কাজ করে। “আলহারবু খিদায়ূ” হাদিস অনুযায়ী শত্রুর সাথে বিভিন্ন পন্থায় লড়াই করে। আক্ষেপ, নিন্দুকেরা যদি সত্যের সন্ধানী হতো………… ফেসবুকে প্রকাশিত
জবাব> প্রথম পর্ব
জবাব> দ্বিতীয় পর্ব