Des Wa -এর মিথ্যাচার দেখতে এখানে ক্লিক করুন
জবাব> কংগ্রেসের সাথে গাঁট বাধে তারা। ইসলামে তো নারী নেতৃত্ব জায়িজ নেই সেখানে তারা ইসলামের নাম দিয়ে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করলো, তাও আবার এক হিন্দু মহিলার (ইন্দিরা গান্ধী)!!! এটা তারা জায়িজ পেলো কোথায়।
আর পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৮২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা যেখানে নিজেই বলেছেন: “নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অত:পর মুশরিক।” সেখানে যারা সারা বছর মাদ্রাসায় পড়ে এবং পড়ায় তারা কিভাবে ইসলামের নাম দিয়ে হিন্দুদের সাথে তারা বন্ধুত্ব করতে পারে??
জবাব> ধ্রুব সত্য যে, পৃথিবীর মানুষের জ্ঞান বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত। কেউ বেশি জানে কেউ কম। তবে সাধারণ জ্ঞান পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষের রয়েছে। অবশ্য একেবারে গণ্ডমূর্খের সংখ্যাও কম নয়। Des Wa সম্ভবত এই দলের সদস্য। উপরের লেখাগুলো তাই প্রমাণ করে।
তার দ্বিতীয় অভিযোগ দেওবন্দিরা নারী নেতৃত্ব হালাল করে কংগ্রেসের সাথে জোট করেছে। এই বিষয়ে আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো> (১)কংগ্রেস মুসলমানদের সংগঠন নাকি যে হালাল হারামের প্রশ্ন আসবে? (২)দেওবন্দ কখন ফতোয়া দিলো নারী নেতৃত্ব হালাল? (৩)জোট করতে গেলেই কি হালাল ফতোয়া দিতে হয়?
মূল সত্যটা হচ্ছে, নারী নেতৃত্ব হালাল হারামের প্রশ্ন এখানে অবান্তর। হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন কংগ্রেসকে নারী নেতৃত্ব হালাল কিংবা হারাম ফতোয়া দেয়ার প্রশ্নই আসে না। যদি মুসলমানদের সংগঠন হতো তবে না হয় কথাটা কিছুটা হলেও গ্রহণ যোগ্যতা পেতো! হিন্দুদের কাছে হালাল হারামের কোনো পার্থক্য থাকলে তো ফতোয়ার প্রসঙ্গ আসতো। হালাল হারাম কার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই সাধারণ ধারণাটুকু যার নেই সে আসছে দেওবন্দিদের সমালোচনায়!
>কংগ্রেস উগ্রপন্থী নয় সহনশীল সংগঠন। স্বাধীনতা সংগ্রামে জমিয়ত ও উলামায়ে দেওবন্দের অবদানকে তারা অকুণ্ঠচিত্তে স্বীকার করে। আর তারা ভারতের সবচেয়ে বড় সংগঠনও। এই কারণে কখনো কখনো কংগ্রেস নেত্রীকে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সমাবেশে দাওয়াত দেয়া হয়। এই দাওয়াতটা মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থেই হয়ে থাকে।
Des Wa হয়তো জানে না যে,জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। জমিয়তের কার্যক্রম মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণমূলক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই কারণে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নির্বাচনে অংশ নেয় না। তাদের পলিসি হচ্ছে; রাজ্য ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনীতিতে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা হবে আবার উগ্রবাদী নয় এমন দলকে তারা সমর্থন করে। জাতীয় নির্বাচনে উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসকে সমর্থন করে। এই সমর্থনের পিছনে একমাত্র কারণ মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা। আর সংখ্যালঘু মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে যে কাজটা করা প্রয়োজন সেই কাজের জন্য উলামায়ে দেওবন্দের নিঃসন্দেহে নিন্দা নয় প্রশংসা প্রাপ্য। ফেসবুকে প্রকাশিত