সভ্যতা বনাম অসভ্যতা অধ্যায়>>> সভ্য শব্দের অর্থ শিষ্ট, মার্জিত, সুরুচিসম্পন্ন। আর অসভ্য শব্দের অর্থ> অভদ্র, অমার্জিত, অশিষ্ট। ইংরেজি শব্দ Civilization (সিভিলাইজেশন) এর বাংলা অর্থ হচ্ছে সভ্যতা। সভ্যতাকে আমাদের দেশে কেউ কেউ সদাচার বলেছেন।
এককথায় মানুষের রুচিবোধ যেসব কাজকে গ্রহণ করে, তাই সভ্যতা। সভ্যতার বিপরীত কাজ হচ্ছে অসভ্যতা। যেমন মানুষ কাপড় পরে> এটি সভ্যতা। কেউ কাপড় ব্যবহার ছেড়ে দিলে সেটি অসভ্যতা। যেকোনো প্রাণী রান্না করা ছাড়া কাঁচা খেয়ে ফেলা অসভ্যতা। রক্ত, পুঁজ, বমি পান করা অসভ্যতা। মানুষের পারস্পারিক সাক্ষাতে কুশল বিনিময় সভ্যতা। অকারণে কাউকে দেখেই গালাগালি কিংবা মারামারি অসভ্যতা।
আফ্রিকা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের জঙ্গল ও পাহাড়ে বেশ কিছু মানুষ বসবাস করে। আধুনিক পৃথিবীর সাথে তাদের কোনো পরিচয় নেই। স্বভাবগতভাবে তারা অত্যন্ত হিংস্র। তারা কাঁচা মাছ, মাংস খায়। হিংস্র জীব জন্তু ও জঙ্গলের লতাপাতা তাদের খাবার। তাদের সমাজে বাবা, মা, ছেলে, মেয়ের মাঝে কোনো তফাত নেই। বিয়ে শাদির কোনো প্রথা নেই। কোনো কোনো গোষ্ঠীতে বিয়ের প্রথা থাকলেও আপনজনের সাথে বিয়েতে বাঁধা নেই। কাপড় চোপড়ের সাথে তাদের পরিচয় নেই। লজ্জাস্থান ঢাকতে কোনো কোনো গোষ্ঠী অবশ্য গাছের ছাল ব্যবহার করে। আমাদের কাছে এরা জংলী মানব হিসেবে পরিচিত। ধর্মের সাথে এদের পরিচয় নেই। অবশ্য কোনো কোনো জংলী জনগোষ্ঠী সূর্য, পাথর, আগুন ইত্যাদির পূজা করে থাকে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের জীবন পাহাড় বা জঙ্গলে কেটে যায়।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার সাথে তাদের আকাশপাতাল পার্থক্য। সভ্যতার লেশমাত্র তাদের মাঝে নেই। স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে পৃথিবীর যাবতীয় নিয়ামত উপভোগ করার যে সুযোগ তাদের সামনে ছিলো, সেই বিষয়ে তাদের ধারনাও নেই। চলবে……. ফেসবুকে প্রকাশিত >প্রথম পর্ব