ভূমিকা>>> “স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি অসম্ভব। প্রতিটি কাজের জন্য স্রষ্টার অস্তিত্ব আবশ্যক”। উপরোল্লিখিত লাইনটি জানতে খুব জ্ঞানী হবার প্রয়োজন নেই। মানুষ মাত্রই জানে, নিজ থেকে কোনো কিছু হয় না। যদি হতো, তবে একমুঠো খাবারের জন্য মানুষকে দিনরাত লড়তে হতো না। প্রাকৃতিকভাবে ক্ষুধা দূর হয়ে যেতো অথবা নিজ থেকেই খাবার প্রস্তুত হয়ে যেতো। বসবাসের জন্য ঘর তৈরি করতে হতো না। বসবাসের ভাবনা করতেই ঘর প্রস্তুত হয়ে যেতো। অথচ প্রত্যেকটি প্রয়োজন পূরণের জন্য মানুষকে কাজ করতে হয়। সুতরাং সুবিশাল এই পৃথিবীর যে একজন কারিগর আছেন, এই বিষয়ে সন্দেহ পোষণ চূড়ান্ত পর্যায়ের মূর্খতা।
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। পৃথিবীর ৯৯% -এরও বেশি মানুষ এই শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকার করে। শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করার অর্থ হচ্ছে, বুঝতে পারে মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। কেবল অল্প সংখ্যক (মস্তিষ্ক বিকৃত) মানুষ! আছে, যারা মানুষের শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী নয়।
পৃথিবীতে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ স্রষ্টায় বিশ্বাসী।বিশ্বাসীদের তুলনায় সীমিত একটি অংশ স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করে না। সারকথা হচ্ছে, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে এই পৃথিবীর একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। তিনি সমগ্র পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে সমগ্র সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। মহান স্রষ্টা মানুষকে নির্দিষ্ট একটি নিয়ম মেনে চলতে নির্দেশ করেছেন। স্রষ্টাকে বিশ্বাস করা এবং স্রষ্টার নির্দেশ মেনে চলার নাম হচ্ছে ধর্ম। চলবে…….
*বিষয়টি নিয়ে লেখা শুরু করলেও আমার জানার পরিমাণ কম। সুতরাং অনেক ভুল তথ্য লেখায় থাকতে পারে। কারো চোখে ভুল ধরা পড়লে অবগত করার অনুরোধে রইলো। ফেসবুকে প্রকাশিত