হযরত আবু উমামা (রা:) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন; যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাত্রিতে শুধুমাত্র সওয়াব প্রাপ্তির আশায় ইবাদত করবে, কিয়ামত দিবসে মানুষের অন্তর যখন ভয়ের কারণে মৃত্যুবরণ করবে, তখন সেই ব্যক্তির অন্তর জাগ্রত থাকবে। (ইবনে মাজা)
উক্ত হাদিসের উদ্দেশ্য হচ্ছে; কিয়ামত দিবসের ভয়ানক পরিবেশ এমন হবে যে, মানুষ জীবনের চাইতে মৃত্যুকে প্রাধান্য দেবে। এমন ভয়ানক অবস্থায় ঈদের রাত্রিতে ইবাদত-কারী ব্যক্তি অন্তরে নিরাপত্তা অনুভব করবে।
ঈদের দিনের সুন্নাত>
১)সাধ্যানুযায়ী সজ্জিত হওয়া। ২)গোসল করা। ৩)মেসওয়াক করা। ৪)সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম কাপড় পরিধান করা (নতুন হোক বা ধৌত করা)। ৫)সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করা। *৬)খুব ভোরে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। ৭)ভোরে ঈদগাহে গমন করা। ৮)ঈদগাহে যাওয়ার আগে সামান্য খোরমা বা মিষ্টি দ্রব্য খাওয়া (ঈদুল আজহার দিন নামাজের আগে কিছু না খাওয়া মোস্তাহাব)। ৯) ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার আগে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। ১০)ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা। অর্থাৎ কোনো ওজর না থাকলে মসজিদে ঈদের নামাজ না পড়া। ১১)ঈদগাহে এক পথে যাওয়া অন্য পথে আসা। ১২)পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। ১৩)ঈদুল ফিতরে তাকবীর বলতে বলতে ঈদগাহে যাওয়া।
প্রসঙ্গ ঈদ মোবারক>
ঈদ মোবারক বলা ঈদের সুন্নাত বা মোস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং সাধারণ মানুষের কাছে ঈদ মোবারক শব্দ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠার কারণে কোনো কোনো ফুক্বাহা ঈদ মুবারক বলাকে মাকরুহ সাব্যস্ত করেছেন। এমনভাবে ঈদের নামাজের পর মোসাফাহা বা মুয়ানাক্বার বিধানও। তবে জরুরী মনে না করে কেউ এসব করলে কোনো অসুবিধা নেই। ঈদের দিন একে অপরকে মোবারক বাদ দেয়া যেহেতু বৈধ, সুতরাং “তাক্বাবালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম” “আপনার ঈদ মোবারক হোক” ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈদকে ক্ববুল করুন। ফেসবুকে প্রকাশিত