আজ (১০ জুন) শুরু হচ্ছে দেশের প্রাচীনতম কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম বাংলাদেশের বার্ষিক পরীক্ষা। এতে বিভিন্ন মাদরাসার ৬ হাজার নয়শ ৫৮জন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আছেন আমাদের Jamea Qasimul Uloom Dargah Sylhet -এরও কয়েকশ ছাত্র। সবার জন্য রইলো নিরন্তর শুভকামনা।
পরীক্ষা শেষ হতেই দাওরায়ে হাদিসের প্রায় ১২৬ জন ভাই বিদায় নিয়ে চলে যাবেন। সামান্যও মিথ্যা হবে না, যদি বলি; এবার যারা দাওরায়ে হাদীসে ছিলেন, তাঁরা যতোটা না বড় ভাই ছিলেন, তারচেয়ে বেশি ছিলেন বন্ধু। অনলাইন হোক আর অফলাইন, সবজায়গাতেই তাঁদের সরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সবজায়গাতেই তাঁদের সাথে এতো সময় কাটিয়েছি যে, লিখতে গেলে বিশাল পুস্তক রচিত হয়ে যাবে।
দুপুরে তাঁদের অনেকের সাথে একসাথে রেস্টুরেন্টে নাস্তা করা, বিকেলে চায়ের আড্ডায় বসা, কাজের প্রয়োজনে একই রিকশায় চড়ে বারবার বাইরে যাওয়া। মাদরাসায় না গেলে ফোন কিংবা ম্যাসেজে একরাশ হতাশার বহিঃপ্রকাশ। অনেকেই দেখলে ভাবতো মনে হয় আমি/আমরা সবাই একসাথে পড়ি। কথাবার্তায়ও কারো কারো সাথে আপনি’র চেয়ে তুমিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। বেশিরভাগ ভাইয়ের সাথে দ্রুত হাটার পথে হলেও দেখা হলেই মোসাফাহা হতো। কেমন আছেন, শরীর ভালো তো জিজ্ঞাসা করা হতো।
সুখের এতোগুলো স্মৃতি আজ জ্বলজ্বল করছে আর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ হতেই তাঁরা বিদায় নিবেন। সম্পর্ক থাকবে, কিন্তু নিশ্চিত যে, দুপুরে আগের মতো একই সাথে নাস্তা করা হবে না। অর্ধেক গোশতের টুকরো খেয়ে বাঁকি অর্ধেক অন্যজনের পাতে তুলে দেয়া হবে না। এক কাপ চা ভাগাভাগি করে নিয়মিত খাওয়া হবে না। ৪র্থ তলায় দাঁড়িয়ে ৩য় তলায় ইশারা দেয়া হবে না। এমন অনেক কিছুই হবে না যা ছিলো সত্যিই সুখের। বিস্তারিত জানতে >ফেসবুকে প্রকাশিত