হযরত আবু উমামা (রা:) বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : যখন ইবলিসকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়, তখন সে আল্লাহ তায়ালার কাছে আবদার করে : হে পরওয়ারদিগার! তুমি আমাকে তোমার দরবার থেকে বিতাড়িত করে পৃথিবীতে প্রেরণ করছো। তুমি আমার জন্য সেখানে কোনো ঘর বানিয়ে দাও। আল্লাহ তায়ালা বললেন : তোর ঘর হচ্ছে শৌচাগার।
সে তখন পুনরায় আবদার করলো : আমার জন্য কোনো বৈঠকখানা বানিয়ে দিন! আল্লাহ তায়ালা বললেন : বাজার এবং রাস্তাঘাট হচ্ছে তোর বৈঠকখানা।
পুনরায় সে আবদার করলো : আমার খাবার দাবারও নির্দিষ্ট করে দিন। আল্লাহ তায়ালা বললেন : প্রত্যেক ঐ বস্তু তোর খাবার, যেসব খাবারে আল্লাহ তায়ালার নাম নেয়া হয় না।
আবার সে বললো : আমার পানাহারের জন্যও কিছু নির্ধারণ করে দিন। আল্লাহ তায়ালা বললেন : প্রত্যেক নেশাযুক্ত দ্রব্য তোর পানীয়।
পুনরায় বললো : আমাকে নিমন্ত্রণ করার কোনো মাধ্যম নির্ধারণ করে দিন। বললেন : বাদ্যযন্ত্র, তাস তোর নিমন্ত্রক।
আবার আবদার করলো : আমার জন্য কুরআন (অর্থাৎ বারবার পড়তে পারি এমন কিছু) বানিয়ে দিন। আল্লাহ তায়ালা বললেন : অশ্লীল ও মন্দ কবিতা তোর কুরআন।
শয়তান পুনরায় বললো : লেখার জন্যও কিছু দিন। আল্লাহ তায়ালা বললেন : শরীরের অঙ্কন তোর লেখা।
আবার আবদার করলো : আমার জন্য কথাবার্তাও নির্ধারণ করে দিন। আল্লাহ তায়ালা বললেন : মিথ্যা তোর কথা।
তখন বললো : আমার ষড়যন্ত্রের জন্য হাতিয়ার(ফাঁদ) বানিয়ে দিন। বললেন : মহিলারা তোর হাতিয়ার।
>সূত্র : নেদায়ে মিম্বার ও মিহরাব; ১ম খণ্ড, ২৩৯ পৃষ্ঠা। >জামিউল আহাদীস; ২য় খণ্ড, ৫৮ পৃষ্ঠা। >বিখরে মোতি। ফেসবুকে প্রকাশিত