মুফাক্কিরে ইসলাম সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহঃ)-এর নাতি সায়্যিদ সালমান নদভী হাফিজাহুল্লাহ’র বয়ান কেন জানি বেশ পছন্দ করি। খুব সম্ভবত তাঁর সুস্পষ্ট আওয়াজ, চমৎকার উচ্চারণ ভঙ্গিমার কারণেই তাঁকে এতো পছন্দ। সিলেটে আগমন করলেও সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। সুযোগ হলে ইউটিউবে তাঁর বয়ানের ভিডিও দেখি।গতকাল কিছু সময় হাতে থাকায় তাঁর বেশ কিছু বয়ান শুনলাম। সাথে তাঁর সমালোচনা করে মেরাজ রব্বানী নামে এক আহলে হাদিস নামধারী ভণ্ডের বক্তব্যও।
সায়্যিদ সালমান নদভী বেশ কিছুদিন পূর্বে সৌদি সরকারের বাস্তবসম্মত যৌক্তিক সমালোচনা করে একটি বক্তব্য রেখেছিলেন। যাতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি সৌদি সরকারের কর্তব্য এবং তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিলো। ছিলো হারামাইনের নাম পরিবর্তন করে সৌদি নামকরণ, ইবনে সৌদের পরিবারের অজ্ঞাত ইতিহাস, সিরিয়া, ফিলিস্তিন প্রশ্নে সৌদি সরকারের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ সম্পর্কিত বাস্তব তথ্য।
মেরাজ রব্বানী নামী ভণ্ড সেই বক্তব্যের জ্বালা মেটাতে ভ্রান্ত সব গল্পে ভর্তি বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলো। তার বক্তব্যের সারসংক্ষেপ ছিলো, বাদশাহ আবদুল্লাহ আমিরুল মুমিনিন। আজ সৌদি সরকাররে বদান্যতায় ইসলামের হিফাজত হচ্ছে । যখন বাদশাহ আবদুল্লাহর নাম উচ্চারণ করছিলো, মনে হচ্ছিলো যেন, তার কাছে আব্দুল্লাহ নবীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। তার সবচেয়ে দুঃখ লাগছিলো, আব্দুল্লাহ’র এতো সমালোচনার পরও আরব বিশ্বে উলামায়ে দেওবন্দকে কেন এতো সম্মান প্রদর্শন করা হয়!!!
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে মানুষ মিথ্যা বলার সময় হৃদকম্পন স্বাভাবিক সীমা অতিক্রম করে। মেরাজ রব্বানির বক্তব্য দেখলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সত্যতা অনেকটা সামনে আসে। বারবার থমকে যাওয়া, অন্ধের মতো বিড়বিড় করে যাওয়, উদ্ভট সব গল্প বলা দেখলে যে কেউ নিশ্চিত হয়ে যাবে ব্যাটা মিথ্যা বলছে।
আমি পুরো ভিডিওটা দেখিনি। সত্যি বলতে রুচি হয়নি। সরাসরি অনেক আহলে হাদিসের সাথে আলোচনা হয়েছে। বিতর্কও কম হয়নি। কিন্তু কখনো রেগে যাইনি, গালি দেইনি। ভিডিও দেখার পর যে কয়টি গালি জানা আছে সবগুলো দিতে ইচ্ছে করছিলো।
সন্দেহ নেই টাকার লোভে এই মানুষগুলো নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। দেওবন্দ ও দেওবন্দী মতাদর্শের সমালোচনা তাদের পরিবার লালন পালনের উৎস। মতিউর রহমান মাদানি, মেরাজ রব্বানিদের আচরণ প্রাচীন যুগে নিজেকে বিকিয়ে দেয়া গোলামের আচরণকেও হার মানিয়েছে। ভিডিও > ফেসবুকে প্রকাশিত