ধর্মে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষের বিশ্বাসে দৃঢ় মানসিকতার অভাব বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে পরিলক্ষিত হয়। অবশ্য এমন মানসিকতার ছোঁয়া থেকে আমাদের মতো নামমাত্র ধার্মিকরাও মুক্ত নই। তবে সাধারণের মাঝে এই প্রভাবটা বেশি। ইসলামের বিঁধান কিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রেরিত। সুতরাং ধর্মীয় বিধি-বিধানে পরিবর্তনের ক্ষমতা মানব জাতি রাখে না। অথচ সংবিধান, বৈদেশিক আইন, মানবতার উন্নতিসহ বিভিন্ন অজুহাতে কুরআন বিরোধী আইন মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়।
এই বিষয়গুলো সামনে আসলে দলান্ধ রাজনীতিবিদ মুসলমানদের একটি অংশ ভাবে, সরকার আইন তৈরির অধিকার রাখে। সুতরাং তারা মানুষের উপকারের জন্য আইন করতেই পারে। অথচ দেশ ধ্বংস হলেও কুরআন বিরোধী আইন চাপিয়ে দেয়ার অধিকার সরকার রাখে না; সরকারের জন্য এমন আইন করা উচিত নয়; এই জাতীয় ভাবনাগুলো সেই শ্রেণিকে স্পর্শ করে না। কেননা এই
অজ্ঞ শ্রেণী কুরআন ও হাদীস গ্রন্থকে সসম্মানে উঁচু জায়গায় কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখার দ্বারাই মধ্যেই কেবল ধর্মকে আটকে রাখে।
যদি ভালোমতো ধর্মের বিধি-বিধানকে বর্তমান সমাজের হতাশায় ভর্তি চিত্রের সাথে তুলনামুলকভাবে পর্যালোচনা করে দেখানো হয়; তবে কুরআন ও হাদিসের প্রতি অবজ্ঞা ভাব অনেকটা দূরীভূত হবে ইনশাল্লাহ।
বিষয়টি এভাবে হতে পারে; বর্তমান রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের প্রায় ৮৫% অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। এই অনাচারের পেছনে চলমান রাজনীতির উদার নীতিই দায়ী। নারীরা পণ্য হচ্ছে। সন্ত্রাসী দেশপ্রেমিক হচ্ছে। ফাঁসির আসামি সসম্মানে মুক্তি পাচ্ছে। নিরীহ মানুষ জেলে মরছে।
মানুষেরা সব নীরবে সহ্য করছে। কেননা তাঁদের সামনে বিকল্প নেই। যদি চলমান সমাজের অসঙ্গতিগুলোর ইসলামিক সমাধান নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করা সম্ভব হয়; তবে নিশ্চয় শতবর্ষ পর হলেও দেশ বদলাবে। বদলে যাবে মানুষ।
>দলান্ধ রাজনীতিবিদদের বিষয়টি একটি উদাহরণ মাত্র। এভাবে সমাজের বিভিন্ন মোড়ে প্রকাশ্য কিংবা গোপনে কাজ করছে; নাস্তিক, মাজার পূজারি ভণ্ড, উগ্র আহলে হাদিসসহ নানা মতবাদের অনুসারীরা। সবকিছু নিয়েই ভাবতে হবে। তবে হুট করে নয়। নিজেকে সমৃদ্ধ করে অতঃপর ভাবতে হবে। ভাবতে হবে, কিভাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করবো এবং কোথায় কাজ করবো?
*আগামী পর্বে ধারাবাহিক এই লেখাটা শেষ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ফেসবুকে প্রকাশিত