অনলাইনে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত কিংবা অপরিকল্পিত; অনেকগুলো দল কাজ করছে। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে উগ্র নাস্তিক, দলান্ধ রাজনীতিবিদ, সূফী সাধকের বেশধারী মুনাফিক, আধুনিকতার স্রোতে বহমান নামধারী মুসলমান।
পরিকল্পনা, পদ্ধতির পার্থক্য থাকলেও উদ্দেশ্যে কিংবা শেষ ফলের দৃষ্টিকোণ থেকে সবগুলো দলের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
উগ্র নাস্তিক কখনো ইসলাম এবং মুসলমানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আবার কখনো বিজ্ঞানের আলোকে কুরআনকে ভুল প্রমাণিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করে। তাদের অকথ্য গালিগালাজ খুব একটা ফলপ্রসূ না হলেও বিজ্ঞান ও যুক্তি সাধারণ মানুষের মাঝে সন্দেহের হাওয়া প্রবাহিত করে। প্রাথমিক পর্যায়ে সন্দেহের পরিমাণ স্বল্প থাকলেও নাস্তিকদের একতরফা বক্তব্যে একসময় সন্দেহ ধর্ম অবিশ্বাসে পরিণত হয়। আর এভাবেই একজন মুসলমান নাস্তিকে পরিণত হয়।
উদাহরণ স্বরূপ মনে করুন; আমি যদি কোনো বিশ্বাস লালন করি, কিন্তু সেই বিশ্বাসের সত্যতা সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা না রাখি; অতঃপর কেউ এসে আমাকে বলে; তোমার বিশ্বাস ভুল। আমি প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো সেই ব্যক্তির কথা মেনে নেবো না। সাধ্যমতো তর্ক করবো। কিন্তু যখন তূণীরের তীর সমাপ্ত হয়ে যাবে, হয়তো পরিচিত জায়গা থেকে সংগ্রহেরও চেষ্টা করবো। অতঃপর যখন ব্যর্থ হবো তখন বিশ্বাসে নিশ্চিতভাবে চির ধরবেই।
এখন আমার এই বিশ্বাস পরিবর্তনের দায় কেবল আমার নয়। এই দায় আরো অনেকের উপর বর্তায়।
একটা সাধারণ মুসলিম তাঁর ধর্ম সম্পর্কে জানে না। না জানার কারণে নিঃসন্দেহে সে দায়ী। কিন্তু যাঁদের দায়িত্ব ছিলো জানানোর। পরিকল্পনা কিংবা ভাবনার অসঙ্গতির কারণে যদি তারা দায়িত্ব সম্পাদন করে না, তবে অজ্ঞ মুসলমানের মতো বিজ্ঞ মুসলমানের উপরও দায় বর্তায়। ধর্ম সম্পর্কে জানা কিংবা মানার জন্য মানুষ ছুটে আসবে এমন ধারণা ইসলামী রীতি নীতির পরিপন্থী। ইসলামকে নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দিতে হবে। রাসূল (সা:) ও সাহাবিদের জীবন আমাদের এই শিক্ষাই দেয়। ফেসবুকে প্রকাশিত