কওমী মাদরাসায় প্রযুক্তির ব্যবহার হয়তো ৫% থেকে ১০% হবে। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। ফলে একটু দৃষ্টি দিলেই মাদরাসায় পড়ুয়াদের সরব উপস্থিতি অনলাইনে চোখে পড়ে।
অনলাইনকে আস্ত এক পৃথিবী বলা চলে। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ এখন ঘরে বসে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা, বাজার, অফিসসহ প্রয়োজনীয় সবরকমের কাজই করছে।
পৃথিবীর যাবতীয় কাজই প্রয়োজন, পন্থা, পরিধি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। অনলাইনে ধার্মিক, অধার্মিক সবধরনের মানুষই বিচরণ করে। সাধারণ ধার্মিক অনলাইনের মাধ্যমে ফতোয়া জিজ্ঞেস করছে আর অধার্মিক ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে সাধারণের মনে সন্দেহ তৈরি করছে। আর এভাবে ভালো মন্দের মিশ্রণে পরিচালিত হচ্ছে অনলাইন জগত।
বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও অনলাইনের বাংলা ভার্সনে ঠিক সেই গরিষ্ঠতা নেই। বিভিন্ন ভাবে ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ চলমান। বিজ্ঞানের সত্যতা প্রচারের নামে কুরআন অস্বীকার, কুৎসিত ভাষায় রাসূল (সা.) এবং মুসলিম মনিষীদের গালিগালাজ, দাঁড়ি টুপি-ওয়ালা নিরীহ ধার্মিকদের সন্ত্রাস উপাধি প্রদান; ধর্মীয় জ্ঞানহীন নামমাত্র মুসলমান ছেলে মেয়েদের কাছে ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে শুরু করে ধর্মের বিরুদ্ধে সম্ভবপর সব কাজই অনলাইনে নিরাপদে চলছে।
এসব অপকর্মের এই বিশালতা কিন্তু ২/১ মাসে তৈরি হয়নি। শূন্য মাঠে অপরিকল্পিত খেলার দ্বারা যখন নিশ্চিতভাবে জেতা যায়, তখন পরিকল্পিত খেলার দ্বারা কল্পনাতীত বিজয় অর্জন সম্ভব; মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে অধার্মিকদের বর্তমান অবস্থান ঠিক সেই শূন্য মাঠে পরিকল্পিত খেলার মতো। তবে আনন্দের বিষয়, খেলা এখনো শেষ হয়নি। ফেসবুকে প্রকাশিত