*ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কয়েকশ লাইক প্রাপ্তি আর কয়েক হাজার মানুষের কাছে লেখা পৌঁছে দেয়ার বদলে আমাদের উচিত> মাদরাসায় পড়ুয়ারা অনলাইন ব্যবহারকারীরা কিভাবে সত্য ও সুন্দর লেখা শিখতে এবং লিখতে পারে; সেই ভাবনা করা।
*পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকা বের করা এবং তাঁতে লিখে নিজেকে অনেক বড় কিছু হয়ে গেছি ভাবার পূর্বে আমাদের উচিত> আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জাতীয় দৈনিকে কওমী পড়ুয়ারা কিভাবে ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারে, সেই ভাবনায় যাওয়া।
*সাহিত্য চর্চায় মগ্ন হয়ে রবীন্দ্র নজরুলকে নিয়ে মেতে উঠার পূর্বে আমাদের উচিত> ভ্রান্ত দলগুলোর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন এবং প্রজ্ঞার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করার কথা ভাবা।
*সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে> নিজের শিক্ষা দীক্ষার পাশাপাশি ঈমান ও আমলকে হিফাজত করে কওমী মাদরাসার ইতিহাস, লক্ষ্য উদ্দেশ্য, বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দেয়া।
আমি সবসময় ভাবি, এই কাজ কিংবা সময়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে যথার্থ কিছু করতে পারলে হয়তো আমাদের পক্ষে অনেক বড় কিছু অর্জন সম্ভব। নয়তো একসময় আমরা হারিয়ে যাবো। হারিয়ে যাবে আমাদের সোনালি ইতিহাস আর বর্ণিল তৎপরতা। বৃহৎ শক্তির সামনে বিচ্ছিন্ন যুদ্ধ কখনো সফলতা নিয়ে আসবে না। পর্যাপ্ত জনবল আর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
বর্তমান সময়ে রাজনীতির মাঠে গোল দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং হতে হবে কৌশলী। মনে রাখতে হবে; প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ভাবুক। (ডায়রি থেকে সংক্ষেপিত)
*** ভাবনাগুলোর সাথে দ্বিমত পোষণের অধিকার সবার আছে। তবে দ্বিমত পোষণকারী কেউ মন্তব্য না করলে খুশি হবো। ফেসবুকে প্রকাশিত