আমার ১২ বছর বয়সী ভাগনা মির্জা আফীফ হোসাইন গতরাতে আমার কাছে ঘুমানোর জন্য আসলো। এই বয়সের বাচ্চারা সাধারণত একটু দুষ্টুমি করে থাকে। আফিফের দুষ্টুমির মাত্রাটা সেই হিসেবে বেশ দুষ্টুমিতে পড়ে।
রাত ২ টার দিকে সে তার প্যাঁচাল শুরু করলো। বছর খানেক হয় সে কম্পিউটার চালানো শিখেছে। তো কম্পিউটার সম্পর্কে আমি বেশি জানি কি না সে জানে! একবার প্রশ্ন করে Alt মানে কী? তো আরেকবার Ctrl কিংবা Caps Lock। সবমিলিয়ে হাবিজাবি অবস্থা। এদিকে আমি ঘুমানোর জন্য অস্থির।
শেষ পর্যন্ত তাকে ভয় দেখানোর পথে হাঁটলাম। প্রথমে বললাম, আজ ভোরে তোর উপর জিন হামলা করবে। সে বললো, কখন? বললাম আরো ঘন্টাখানেক পর। প্রথম জিন তোর হাত পা বেঁধে বাসার ছাদে নিয়ে উপর থেকে ফেলবে। অতঃপর গলার পাঁশে ফুটো করে সব রক্ত চুষে খাবে। এরপরে লম্বা একটা ছুরি নিয়ে গলা ………………
তখন তো ভয়ে সে কাহিল। বললোঃ মামা, আপনি একবার আয়াতুল কুরসি পড়ে একটা ফুক দেন না। আমি বললাম; আমি ফ্রি কিছু দেই না। আগে আমার বিল আদায় করো। সে তখন কাঁদো কাঁদো অবস্থায়।
আগেরদিন তার খানিকটা জ্বর এসেছিলো। এটাকেও কাজে লাগালাম। বললাম, জিন তো আগুনের তৈরি। এজন্য কারো কাছে জিন আসলে জ্বর চলে আসে। গতকাল জিনেরা এসে ট্রায়াল দিয়ে গিয়েছিলো। এজন্য গতকাল তোর জ্বর আসছিল।
একটু পরেই আবার গলার স্বর বদল করে একা একা বললাম, তুই রেডি থাকিস। তখন আফীফ জানতে চাইলো, কি বলেছি? বললাম, আমার প্রহরী জিনকে বললাম, তোর উপর হামলা করার সময় সে যেন লড়াই করে। আর প্রহরী বলেছে, তুই যেন কালিমা পড়ে ঘুমিয়ে যাস। বললো; কালিমা পড়বো কেন? বললাম, কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না। এটুকু কথাতেই কাজ হলো। সে টয়লেটে যাবে বলেছিলো। ভয়ের চোটে সব ভুলে গেলো। আমিও এই সুযোগে ফজর পর্যন্ত ঘুমিয়ে নিলাম।
*আজ এসব নিয়ে হাসতে হাসতে শেষ। ভুতের গল্প পড়াও কখনো কখনো কাজে আসে। ফেসবুকে প্রকাশিত