দারুল উলূম দেওবন্দের শায়খুল হাদীস আল্লামা সাইদ আহমদ পালনপুরী (দা: বাঃ) ঈদের দ্বিতীয় দিন মুম্বাই সফরে যান। এমনিতে হার্ট ব্লক কিংবা শ্বাসকষ্ট জনিত কোনো রোগ হযরতের ছিলো না। তবে ভ্রমণে থাকাকালীন শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণে কিছুটা কষ্ট অনুভব হচ্ছিলো। ঈদের ছুটি থাকার সুবাদে রোগ নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে হাসপাতালে চেকআপ করানোর জন্য গেলে ডাক্তার বলেন> যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার বাইপাস সার্জারি করা প্রয়োজন। অপারেশনের পরই আপনি সুস্থ হতে পারেন। বিলম্বে আপনার প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
উপস্থিত ঘনিষ্ঠজনদের পরামর্শে হযরত বিলম্ব না করেই হাঁসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। ভর্তি গ্রহণের পর শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিলো। শুক্রবার পর্যন্ত পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।
ভর্তির সময় ডাক্তার জানিয়েছিলেন, শনিবার রাত ৮:০০ ঘটিকায় অপারেশন শুরু হবে। কিন্তু শুক্রবারে হটাত হযরতের জ্বর চলে আসলে, ডাক্তার অপারেশন শনিবারের পরিবর্তে সোমবারে করবেন বলে জানান।
শনিবার দুপুরে খাবার গ্রহণের পর যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন বেশ শারীরিক কষ্ট অনুভব করেন।
সত্যি বলতে, ডাক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী অপারেশনের পূর্ব পর্যন্ত তিনবার অ্যাটাক হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম অ্যাটাকটি সাধারণ হলেও দ্বিতীয় এবং তৃতীয়তই বেশ বড় ছিলো। রোববার সর্বশেষ অ্যাটাকের পর ডাক্তার জানান, এখনি বাইপাস সার্জারি করতে হবে। অপারেশন এখন করতে পারলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন। উপস্থিত সবাই ডাক্তারের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেন।
অতঃপর গতকাল রবিবার বিকেল চারটার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় হযরতকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭:৩০ এর দিকে মূল অপারেশন ভালোমতো শেষ হয়। অপারেশন শেষে হার্টও কাজ করা শুরু করে। তবে অপারেশন পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা জ্ঞান ফিরবে না এবং কেউ দেখতেও পারবেন না বলে ডাক্তার জানান।
*সর্বশেষ দেওবন্দের একটি ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়> আল্লামা সাইদ পালনপুরির শারীরিক অবস্থার প্রতিমুহূর্তেই উন্নতি হচ্ছে। তবে যেহেতু পূর্ণ সুস্থ হননি, তাই দোয়া অব্যাহত রাখবেন, যেন অচিরেই সুস্থ হয়ে দারুল উলূমে ফিরতে পারেন। (WhatsApp এ প্রাপ্ত অডিও বার্তার লিখিত ভার্শন) ফেসবুকে প্রকাশিত