১) “কুটা দিয়ে বেগুন পাড়া” র চেষ্টা যেমন মূর্খতা তেমনি মাটিতে দাঁড়িয়ে ছোট দণ্ড দিয়ে ডাব পাড়ার চেষ্টাও। এই উপমাগুলো কোনোকিছু অপাত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি বস্তুর যথাযথ ব্যবহারে বিশ্বাসী। কাউকে তাঁর মর্যাদার বাইরে “জি হুজুর জি হুজুর” আচরণ দেখাতে আমার চরম অনীহা। যদিও আমার কাছের মানুষদের অনেকেই এই নীতিতে বিশ্বাসী নয়। তবে শেষ পর্যন্ত এই নীতিটাই যে শ্রেষ্ঠ, বারংবার তা প্রমাণিত হয়। এই যেমন হলো…………
======================
২) পুরনো উপলব্ধি> কয়েক বছর আগেও সাক্ষর দেয়ার জন্য পাগল ছিলাম। নিজেকে বড় মানুষদের মতো মনে হতো। ভাগ্নি তাহমিনা স্কুলে পড়তো। পরীক্ষার খাতা যখন ফেরত দেয়া হতো, তখন ঘরের সবাইকে ডিঙ্গিয়ে আমি সাক্ষর করতে চাইতাম।
নতুন উপলব্ধি> সাক্ষর দেয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজের একটি। প্রায়ই নামের বদলে ২ টা দাগ দিয়ে সাক্ষর আদায় করে দেই। নিজেই বুঝতে পারি না কি লিখেছি! সামনে অনেকগুলো কাগজ নিয়ে বসে ভাবছি; আর কতো সাক্ষর দিতে হবে…………
======================
৩) অন্যকে খুশি করতে অনেকেই ইচ্ছার বিপরীত বিভিন্ন কাজ করে। হয়তো এভাবে নিজের চাহিদাকে বিসর্জন দেয়া সমাজের চোখে কাউকে নিরীহ, ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিত করে তুলবে। কিন্তু ত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় মানসিক ক্ষয়টা সেই ভদ্রতার প্রত্যয়ন-পত্র অর্জনের চাইতে অনেক গভীর হবে নিশ্চিত। আমি অন্তত কাউকে খুশি করতে নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে রাজি নই। (এই অংশটা ন্যায় অন্যায়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। নিজের স্বার্থে অন্যায় আচরণে আমি বিশ্বাসী এমনটি মনে করার কোনো প্রয়োজন নেই।)
অনেকগুলো একান্ত অনুভূতি
০