সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আদর্শের যোগ্য ধারক হয়েও আমরা সর্বক্ষেত্রে যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারছি না। উত্তম আদর্শ সাধারণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূরে থাক, দৃষ্টির সামনে উপস্থাপন করতে পারছি না! ধর্মীয় বিধি-বিধানের আলোকিত রূপ আজ আমাদের বিশ্বাস পরিপূর্ণ নয়। আমাদের কর্মে ওহীর নির্দেশনার প্রতি মুদ্রিত চোখের অনুকরণ নেই। কাগুজে রাজার ভূমিকায় আজ আমাদের অবস্থান।
সহজ ভাষায় উদাহরণ উপস্থাপন করছি। মতপার্থক্যের মনোভাব মানবিক স্বভাবের সহজাত অংশ। সর্বযুগে মানব সমাজে তা ছিলো, আছে, থাকবেও। নিজস্ব ভাবনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মানুষের তর্জন গর্জনকে সমাজ অবাক চোখে দেখে না। তবে মানুষের অবস্থানভেদে প্রকাশভঙ্গির পার্থক্য বিবেচ্য হয়ে থাকে। প্রতিটি যুগে কিছু মানুষ ব্যক্তি স্বার্থের বদলে বিরোধকে বৃহতস্বার্থে গ্রহণ করেছিলো। ইতিহাসের চোখে এরাই যুগের শ্রেষ্ঠ মানবের স্বীকৃতি পেয়েছিলো। অথচ সেসব মহামানবের উত্তরসূরি আমরা রাজনৈতিক,সামাজিক,বৈশ্বিক বিরোধে যে কাউকে তুলোধোনা করি। যোগ্যতা অযোগ্যতা বিবেচনা বিহীন অন্ধ অনুসরণ নামে নিজেদের বিবেক বিক্রি করি। নিজেদের চেতনাকে নিষ্প্রাণ বিতর্কে কলঙ্কিত করি। যাকে পছন্দ করি, তাঁর পূজা করতে ভাবনা কাজে লাগে না। যাকে দেখতে পারি না, তাঁর সরল জীবনকেও বক্র ভাবি। ফেসবুকে প্রকাশিত