সিলেটের মেয়র প্রার্থী লিমন এক আলোচিত নাম। এবার ভোট পেয়েছেন সর্ব সাকূল্যে ১৫০০ এর মতো। কিন্তু কথা বার্তা, অন্য প্রার্থীদের সাথে সীমাহীন, ফারাক উল্টা পাল্টা কথা বার্তা ইত্যাদি কারণে সিলেটের সবার কাছে পরিচিত।
গতরাতে আমি, তোফায়েল আহমদ এবং মিসবাহ মঞ্জুর ভাই নাস্তা করতে জিন্দাবাজার পানসি রেস্টুরেন্ট এ গেলাম। স্পন্সর ছিলেন মিসবাহ ভাই
লোকজনের আধিক্য দেখে ভেতরে একটা টেবিলে পাশাপাশি বসে অর্ডার করে আমরা গল্প করছি; তিনজন মানুষ আমাদের বিপরীত পার্শে এসে বসলেন। আমি ভালোভাবে দেখিনি, হঠাৎ মিসবাহ মঞ্জুর বললেন, চিনতে পেরেছেন কি? আমি বললাম: কাকে! বললেন: লিমনকে। আমি তাকিয়ে দেখি, সত্যিই তো মেয়র লিমন সাহেব আমাদের বিপরীত পার্শে বসে আছেন।
আমরা নিজেরা চাপাস্বরে কথা বলছি, এমতাবস্থায় লিমনের সাথে থাকা একজন জানতে চাইলেন, চিনতে পেরেছি কিনা? বললাম: জি, চিনতে পেরেছি। না চেনার তো কিছু নেই। এতো পরিচিত ব্যক্তিকে চিনবো না কেন। আমি বললাম: আপনি কোনো একটি দলে যোগ দিলেই পারেন! বললেন: সব দলই খারাপ। আমার হেফাজতের ভাইয়েরাই আমার জন্য যথেষ্ট। এরপর বললেন: তারা দুজন থেকে তো আমি ভালো। আমি বললাম: অবশ্যই আপনি ভালো। তখন জানতে চাইলেন মাদরাসায় পড়ি নাকি? বললাম: হ্যাঁ, দরগাহ মাদরাসায় পড়ি। বাসা কোথায় জানতে চাইলেন। বললাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম; আপনি কি করেন? বললেন: কনট্রাক্টর। আমাদের এলাকায় তার একজন বন্ধু থাকেন। তার প্রসঙ্গেও আলোচনা হলো। এরপর বললেন: উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। নিশ্চিত জিতবেন বলেও দাবী করলেন। তখন মিসবাহ মঞ্জুর ভাই বললেন: প্রার্থী না হলেই ভালো করবেন। আপনি মেয়র প্রার্থী হিসেবে যে পরিচিত পেয়েছেন, উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়ালে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং না দাঁড়ালেই ভালো করবেন। এরচেয়ে আগামি মেয়র নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন। তখন বললেন; নাহ, আর নির্বাচন করবো না। যদি ১৫/২০ হাজার ভোট পেতাম তবে না হয় চিন্তা করতাম। ৫০০/১০০০ ভোট দিয়ে কি আর কিছু হয়।
নাস্তা শেষে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আমরা ভাবতে লাগলাম, মিসবাহ ভাই’র কথা শুনার পর আর মনে হয় বেচারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবে না।
প্রথম প্রকাশ> July 5, 2013