ফেসবুকে হেফাজতের পক্ষে অনেকেই কথা বলছে। ব্লগে সেই হিসেবে কেউ নেই বললেই চলে। তবে হেফাজত বিরোধীরা ফেসবুক,ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাইটে ভালোই অপপ্রচার চালাচ্ছে। হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী আসন্ন। এখন এতোকিছু ভেবে লাভ নেই। ঠিক এই মুহূর্তে নিঃস্বার্থভাবে সহজে ইসলামের স্বার্থে যে কাজটা করতে পারি, তার মূল ধারণা শহীদ হাসানুল বান্নার ডায়রি পড়ে অনেকদিন পূর্বে পেয়েছি।
হেফাজত অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও সরকার রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দাড় করিয়ে দিয়েছে। হেফাজতের বিরুদ্ধে সরকারের কর্মকাণ্ড তাই প্রমাণ করে। এরফলে সরকার-দলীয় অনেকেই অজ্ঞতাবশত হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো অনুধাবন করার বদলে বিরোধিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছেন।
শহীদ হাসানুল বান্না (রহঃ) ইখওয়ানুল মুসলিমীন গঠনের পূর্বে বিভিন্ন দোকানে, কফি শপে গিয়ে মানুষকে ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে অবহিত করতেন। আমরা একই পন্থায় নিজেদের পরিচিত মানুষদের, যাদের সাথে কথা বললে রাগ করবে না, এবং আমাদের জানা আছে সে হেফাজতের বিরোধিতা করছে, ১৩ দফা নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা করতে পারি। আমার ধারণা একজন সুস্থ মানুষও ১৩ দফা নিয়ে গভীরভাবে ভাবলে বিরোধিতা করতে পারবে না। খুঁজলে দেখা যাবে, হয়তো আমার ভাই হেফাজতের বিরুদ্ধে। আমার পরিবারের কেউ হেফাজতের বিরুদ্ধে। এই মানুষগুলোকে যদি আমরা সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারি, সেটা হবে অনেক বড় পাওয়া।
যাদের যুক্তি দিয়ে কথা বলার অভ্যাস আছে, তাঁদের জন্য তো কাজটি সহজ। যাদের কথা বলার অভ্যাস নেই, তাঁরা কষ্ট করে ১৩ দফার ব্যাখ্যা পড়ুন। প্রয়োজনে কারো সাথে আলোচনা করে বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করুন। আগামী কর্মসূচীর পূর্বে যেটুকু সম্ভব এই কাজটা করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এই কাজের পেছনে হেফাজতে ইসলামের দল-ভারী করার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, একজন মুসলমানের ঈমান ও ইসলামের হিফাজত। অন্ধভাবে দলীয় অনুসরনের নামে যুক্তি দিতে গিয়ে অনেকেই পর্দার বিরুদ্ধে কথা বলছে। কুরআনের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এই মানুষগুলোর স্বার্থেই তাঁদের সাথে আলোচনা করা উচিত। আশা করি যাদের চোখে পড়বে, বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। ১ মে,২০১৩ ফেসবুকে প্রকাশিত