(১) সিলেটে হেফাজতে ইসলামের কয়েক হাজার নেতাকর্মী কোর্ট পয়েন্ট ও হুমায়ুন চত্তর অবরোধ করে রেখেছে।
(২) জনগণের অসুবিদা বিবেচনা করে হুমায়ুন চত্তরের অবরোধ সমাপ্ত করে এখন সবাই কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমানে বক্তব্য রাখছেন বন্দর বাজার জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুস্তাক আহমাদ খান।
(৩) এইমাত্র ইসলামী আন্দোলনের বিশাল মিছিল সিলেট কোর্ট পয়েন্টে এসেছে।
(৪) সিলেট কোর্ট পয়েন্টে আজ বিকেল থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। সিলেট জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহিব্বুল হকের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত আছেন,হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল বাসিত বরকতপুরী। ভার্থখলা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মজুদ্দিন। সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুশতাক আহমাদ খান। সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী। এখানে বিভিন্ন ইসলামী দলের কর্মীরা আছেন। সাধারণ জনতার উপস্থিতিও আশাব্যঞ্জক।
(৫) মৌলভীবাজার থেকে শতাধিক গাড়ীবহর নিয়ে এখন ঢাকার পথে বরুনার পীর মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক (দাঃ বাঃ)। বর্তমানে তাঁরা বিবাড়িয়ায় আছেন। তাঁদের জন্য দোয়ার আবেদন রইলো।
(৬) ০৬ এপ্রিল বিকেলে সিলেট ওসমানী শিশু পার্কের সামনে তৌহিদি জনতার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) এর খলীফা,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আব্দুল মুমিন ইমামবাড়ী (দাঃ বাঃ)। এতে তিনি দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেককে ঈমানী দায়িত্ব মনে করে লংমার্চে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানান।
(৭) ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি,বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক দল সিলেট জেলার সভাপতি,প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সামসুজ্জামান জামান তার বিশেষ কর্মীদের নিয়ে হেফাজতে ইসলাম সিলেটের অবস্থান কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে এখন কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছেন।
জনাব জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন,আমি একটি রাত উলামাদের সাথে কাটাতে চাই। হয়তো এই রাতের কারনে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। তিনি আরো বলেন, ইনশাল্লাহ মিছিলে আমরা সবার শেষে থাকবো; কিন্তু যদি কোনো সমস্যা বাধে,তবে আমরা সামনে চলে যাবো। আমাদের কেউ উলামাদের উপর হামলা করতে চায়,তবে আমাদের ডিঙ্গিয়ে হামলা করতে হবে। তিনি হরতাল আহ্বানকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা কি কিয়ামতকে ভুলে গেছো? তোমরা কি হাউজে কাওসারের প্রত্যাশী নও? আল্লাহ তায়ালা তাঁর এই বান্দাকে সবকিছু থেকে মুক্ত করে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।
(৮) সিলেটে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন শুকনো খাবার এবং বিরিয়ানী,আখনী সরবরাহ করেছেন। খাবারের স্থুপ দেখতে ছোটোখাটো পাহাড়ের মতো লাগছে। মানুষের উপস্থিতিও সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে।
(৯) সিলেটে শানে রিসালত মহা সমাবেশের ঘোষণা।
(১০) সমাপ্ত।