ধর্মের এমন কিছু শাখা আছে,যাতে হস্তক্ষেপ করা বৈধ কি বৈধ নয় সে প্রশ্নের পূর্বে বুঝা উচিৎ সবাই ধর্মীয় পণ্ডিত হয় না। শূন্য মাঠে চিৎকার করে যেমন সব কথা বলা সুন্দর নয় তেমনি ব্যাখ্যার দাবী রাখে এমন কল্পনাপ্রসূত বানীও ধার্মিকের রূপ নিয়ে বলা কেবল অসুন্দর নয় বরং অগ্রহণযোগ্য।
অনলাইন জগতে নিজের পণ্ডিত-সুলভ জ্ঞান প্রকাশের জন্য মানুষ সবসময়ই দুর্বলদেরকে বেঁছে নেয়। যারা হাততালি আর জি হুজুর টাইপের কথা বলে এদের কাছেই অধিকাংশ মানুষ নিজের জ্ঞানের প্রকাশ ঘটায়। বেচারা চিন্তা ভাবনায় অক্ষম মানুষ জ্ঞানী-কথন শুনে ভাবে আহ,আমার কতো সৌভাগ্য। যেন রবিঠাকুর আর কালিদাসের লেখা পড়ছি। আর সেই লেখা সচেতন কারো চোখে পড়লেই কেবল বের হয় আসল রহস্য।
দুঃখজনক হচ্ছে,ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন (ভাষা পণ্ডিত) মানুষেরা ধর্মীয় বিষয়কে ভাষার রঙিন কাপড় পরিয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে,সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। আবেগের বশে কেউ যুক্তি দেখায় কেউ গালি দেয়। সবশেষে মহাপন্ডিত তার কথার জট খোলেন। কথার মারপ্যাঁচে ধার্মিককে মূর্খ প্রমাণ করে নিজের বড়ত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে স্ট্যাটাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আমার মনে হয় সাধারণ মানুষের কাতারে থাকতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। পাণ্ডিত্য প্রকাশ করতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে হয় না। সত্যিকারের জ্ঞানী যে হয়,তার কাছে মানুষ যেতে বাধ্য। বাসের কনট্রাকটরের মতো ডেকে ডেকে দল ভারি করা সাদা চোখে বড্ড কুশ্রী দেখায়।