মদীনায় অবস্থানের ফযীলত।
যে ব্যক্তি মদীনার সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে সেখানে অবস্থান করতে চাইবে, তাঁর জন্য মক্কার চাইতে মদীনায় অবস্থান করা উত্তম।
হুজুর (সাঃ) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে মদীনায় অবস্থান করবে এবং সেখানে মৃত্যুবরণ করবে, আমি কিয়ামত দিবসে তার জন্য সুপারিশ করব।
মসজিদে নববী মদীনায় অবস্থিত। হুজুর (সাঃ) থেকে বর্ণিত, মসজিদে হারাম ব্যতিত অন্য যে কোন মসজিদের চাইতে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করলে ১০০০ হাজার গুন বেশী সওয়াব মিলবে।
হজরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হুজুর (সাঃ) বলেন, যে আমার মসজিদে ধারাবাহিক ভাবে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, সে জাহান্নামের আযাব এবং নেফাক থেকে মুক্তি পাবে।
মদীনার কিছু পবিত্র স্থান।
মসজিদে নববীতে হুজুর (সাঃ) -এর খোতবা দেয়ার পবিত্র মিম্বর এবং হুজরা মোবারকের মধ্যবর্তী একটি স্থান। এ স্থানকে হুজুর (সাঃ) জান্নাতের এক টুকরো বলে পরিচয় দিয়েছেন।
মদীনার মধ্যে অবস্থিত ‘উহুদ পাহাড়’। যার সম্পর্কে হুজুর (সাঃ) বলেছেন, ‘উহুদ পাহাড়’ আমাদের ভালবাসে,আমরাও ‘উহুদ পাহাড়কে ভালবাসি।
মদীনার নিকটবর্তী ‘কোবা’। যেখানে সর্বপ্রথম হুজুর (সাঃ) মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। হুজুর (সাঃ) প্রায়ই সেই মসজিদে যেতেন,এবং দু রাকআত নামাজ আদায় করে প্রত্যাবর্তন করতেন। কোন কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, প্রতি সপ্তাহে যেতেন।
মসজিদে নববীর নিকটবর্তী কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকী’। যেখানে হাজার-হাজার সাহাবীর কবর অবস্থিত।
সর্বোপরি মদীনার প্রতিটি অংশই পবিত্র। সেখানকার প্রতিটি অংশে আছে রাসুলে আরাবীর স্পর্শের ছোয়া। মদীনার প্রতিটি কোন থেকেই ভেসে আসে ভালবাসার সুঘ্রাণ।