প্রগতি অর্থ অগ্রগতি। যে মতবাদ বিজ্ঞান-প্রযুক্তির বিকাশ এবং সমাজ-বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে, সেটাকেই বলা হয় প্রগতিশীল। আর যে মতবাদ খাপ খাইয়ে চলতে অক্ষম, সেটাকে বলা হয় প্রতিক্রিয়াশীল।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক গোষ্ঠী প্রগতিশীলতার ঠিকাদারি গ্রহণ করে নিয়েছে। আওয়ামীলীগ, বিএনপি থেকে জাসদ, বাসদ সবার দাবী> আমরা প্রগতিশীল। একইভাবে সবাই পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে এও দাবী করে> ইসলাম ধর্ম প্রতিক্রিয়াশীল।
তথাকথিত প্রগতিশীল গোষ্ঠীর দাবী যে ভ্রষ্টতায় ভরপুর এতে কোনো সন্দেহ নেই। আচমকা গজিয়ে উঠা কেউ যখন ১৪০০ বছর ধরে ঠিকে থাকা ধর্ম সম্পর্কে দাবী করে, এই ধর্ম সমাজ ও বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে অক্ষম, তখন কেবল হাসতে ইচ্ছে হয়। তবে কিছু ধার্মিক যে প্রতিক্রিয়াশীল, এটি অস্বীকার করা যায় না। যেমন প্রগতিশীলরা বলে> প্রতিক্রিয়াশীলরা দীর্ঘমেয়াদী কোনো কাজ করতে পারে না। তাদের কাজের মেয়াদ হয় স্বল্প। প্রতিক্রিয়াশীলরা কোনো কাজে সফল হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমাদের দেশের ধর্মীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে এই কথাগুলো অনেকটা খাপ খেয়ে যায়। যেমন স্বাধীনতার এতো-বছর পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক ময়দানে উলামায়ে কেরামের মোটামোটি একটি অবস্থান এখনো তৈরি হয় নি। অথচ এই সময়ে ভারত পাকিস্তানের আলেম সমাজ রাজনৈতিক ময়দানে যে সফলতা লাভ করেছে, দেখলে অবাক হতে হয়। আরো দুঃখজনক হচ্ছে, রাজনীতিতে পিছিয়ে থাকা নিয়ে কারো কোনো ভাবনা নেই!
আমার ধারণা, উলামায়ে কেরামের প্রতি মানুষের যে বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হলেই রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখ করার মতো জায়গা দখল সহজেই সম্ভব। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে আপাতত আমাদের কোনো চিন্তা নেই। যে সময়টাতে আমরা “রাজনীতির মাঠে কিভাবে আরও সফল হতে পারি” ভাবতে পারতাম, সেই সময়ে আমরা নিজেরা মারামারিতে লিপ্ত থাকি। থাক, আর কিছু নাই বা বলি। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। ফেসবুকে প্রকাশিত