একসময় পশ্চিমা মিডিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষ বিশ্বাসী ছিলো। বিবিসি, সিএনএন, ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদকে মানুষ নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করতো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিবিসিসহ বিভিন্ন বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মিডিয়া মাফিয়া চক্রের মতো হয়ে উঠেছে। একসময় মানুষ মিডিয়াকে সত্য ও ন্যায়ের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভাবতো। আজ সেই মিডিয়া শোষক শ্রেণীতে রূপান্তরিত হয়েছে।
পুঁজিবাদী শক্তির হাতের পুতুলে পরিণত হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুক্তিকামী জনতাকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি উপাধি আর বিদ্রোহীদের দেশপ্রেমিক আখ্যা দেয়া থেকে শুরু করে সমস্ত বিশৃঙ্খলাতেই মিডিয়ার ভূমিকা লজ্জাজনক।
মিডিয়া সম্পর্কে বহুল প্রচলিত একটি কৌতুক হচ্ছে> একদা আমেরিকার একটি এলাকায় এক বালকের উপর একটি কুকুর হামলা করলো। এক মুসলমান যুবক তখন কুকুরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বালককে রক্ষা করলো। চারিদিকে খবর ছড়িয়ে যেতেই সংবাদকর্মীরা চলে আসলো। যখন যুবককে সবাই বাহবা দিয়ে নাম জানতে চাইলো, তখন সে তাঁর নাম বললো “মুহাম্মাদ ……”। পরদিন পত্রিকায় আসলো “অমুক জায়গায় এক মুসলমান সন্ত্রাসীর হামলায় একটি কুকুর নিহত”।
ইরাকে সুন্নিদের সংগঠন ‘দ্য ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট’ বা আইএসআইএল শাসকগোষ্ঠীকে সরিয়ে সম্প্রতি অনেকগুলো শহর পুনর্দখল করে নিয়েছে। পুনর্দখল বলার কারণ হচ্ছে, সুন্নি সম্প্রদায় ইরাকের ক্ষমতায় ছিলো। আমেরিকা নির্লজ্জের মতো আক্রমণ করে দেশ দখল করে শিয়া জনগোষ্ঠীকে পুতুল সরকার হিসেবে বসিয়ে রেখেছে। সুতরাং আইএসআইএলের বর্তমান যুদ্ধ মুক্তিকামী জনতার যুদ্ধ। বৈধ স্বাধীনতার জন্য লড়ছে সুন্নি সম্প্রদায়। কিন্তু সবগুলো মিডিয়াই তাঁদের বৈধতা দিতে নারাজ। ইলেকট্রিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় আইএসআইএল মানেই জঙ্গি সংগঠন।
পশ্চিমা শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে সবাই। জনতাকে সাথে নিয়ে প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার পরও কোনোভাবেই স্বাধীনতার জন্য লড়াইরত যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলতে রাজি নয় একটি মিডিয়াও। এ লজ্জা আইএসআইএলের নয়, নয় সাধারণ জনতার। এ লজ্জা এক নির্লজ্জ গোষ্ঠীর, যাদের সত্য, ন্যায় ও নির্যাতিতের পক্ষে থাকার কথা ছিলো। এ লজ্জা ঐ গোষ্ঠীর, যারা স্বার্থের জন্য নিজেদের খোলস বদলে অচ্ছুৎ শুকরে পরিণত হয়েছে। ফেসবুকে প্রকাশিত