আল্লাহ তায়ালা মানুষকে উত্তম স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেন। কিন্তু পরিবেশ মানুষকে নষ্ট করে নিরাপদ জীবন যাপন হতে বঞ্চিত করে। এজন্য যথাসম্ভব মন্দ পরিবেশ থেকে দূরে বসবাস এবং মহৎ চরিত্রের অধিকারে মানুষের সান্নিধ্য গ্রহণ করা দরকার। বিশেষভাবে শিশুদের নোংরা পরিবেশের প্রভাব হতে রক্ষা করা জরুরী। অন্যথায় অজ্ঞতার দরুন তারা নিজেদের ভবিষ্যতকে বিনষ্ট করে সমাজের জন্য ভয়াবহ বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে পিতা মাতা শৈশবে সন্তানকে এতো স্নেহ করেন যে, তার কোনো কাজেই বাঁধা প্রদান করেন না। অতঃপর যখন সন্তান অসৎ হয়ে পড়ে, তখন কান্নাকে আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করেন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) রাসূলুল্লাহ (সা:) হতে বর্ণনা করেন : প্রতিটি নবজাতশিশু ফিতরাত তথা ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইয়াহুদি বানায়, খ্রিষ্টান বানায়, অথবা অগ্নি-উপাসক বানায়।
অর্থাৎ শিশু যে পরিবেশে লালিত পালিত হয়, সেই রঙ তার মাঝে উদ্ভাসিত হয়।
এজন্য শিশুকে মন্দ পরিবেশের প্রভাব হতে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষের সৎ এবং মহৎ হওয়াটাই পরিচ্ছন্ন সমাজ তৈরির জন্য যথেষ্ট নয়। বড় মানুষেরা আজ আছেন আগামীকাল হয়তো থাকবেন না। আজকের শিশু আগামীকালের পৃথিবীর ক্ষমতায় বসবে। অতএব যদি এই শিশু সৎ এবং আল্লাহ ওয়ালা না হয় তবে কিভাবে পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়ে উঠবে!
>হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুস পালনপুরী (রহঃ) -এর বিখরে মোতি হতে অনূদিত। ফেসবুকে প্রকাশিত