সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে দাঈয়ে ইসলাম মাওলানা কালিম সিদ্দিকি সাপ্তাহিক লিখনীকে একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দেন। অতিরিক্ত রক্ত গরম পাবলিক আর মাথামোটা ধর্মীয় রাজনীতিবিদদের এই সাক্ষাতকার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের উপকৃত হবার তৌফিক দান করুন।
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি>
বন্দুক কামান বোমা নয় এখন সময় ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়ার।
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি। অমুসলিমদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এই ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট দার্শনিক সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ.-এর খলিফা। তার দাওয়াতি মিশন এখন ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে পৌঁছে গেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে মাওলানা কালিম সিদ্দিকি সাপ্তাহিক লিখনীকে একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন লাবীব আব্দুল্লাহ।
সাপ্তাহিক লিখনী : ভারতে যে বিশাল পরিমাণ মুসলমান রয়েছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের দীনি এবং রাজনৈতিক অবস্থাটা কী আমাদের একটু ব্যাখ্যা করবেন?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : হিন্দুস্তানের মুসলমানদের একটা অংশ যা তা ভাবে সেটা হলো, তাদেরকে আসলে দেশবিভাগের মতো একটি অপ্রিয় বিষয়ের দাম দিতে হয়েছে। তাদেরকে এ দেশবিভাগের বদৌলতে হারাতে হয়েছে অনেক কিছু, অর্জনও করেছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ব্যাপারে তারা মনে করে, তারা তো তাদের নিজেদের অংশ নিয়ে নিয়েছে আর আমাদেরকে এখানে রেখে গেছে।
এছাড়া স্বাভাবিক বিচারে হিন্দুস্তানের হিন্দুরা সবসময়ই মুসলমানদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন। পরস্পরের প্রতি সহমর্মী। হিন্দুস্তানের মাটি থেকে ভালোবাসার সুবাস আসে। আসলেই হিন্দুস্তান দেশটা ভালোবাসার এক অনুপম দৃষ্টান্ত, সেখানে আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা আমাদের প্রতি ভালোবাসাপূর্ণ আচরণই করে। তবে মাঝে মাঝে মুসলমানদের সঙ্গে হিন্দুদের যে অনৈতিক আচরণ আমরা দেখতে পাই, তা কতিপয় স্বার্থান্বেষী লোকের রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় ফায়দা ওঠানোর চক্রান্ত মাত্র। সাধারণ জনগণ যারা তারা কখনোই এমন নয়। তারা যথেষ্ট সহমর্মী, বন্ধুত্বপরায়ণ ও অন্তরঙ্গ।
আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলতে পারি, হিন্দুস্তানে ইসলামের ওপর আমল করা, ইসলাম পালন করা, ইসলামের দাওয়াত দেয়ার যে স্বাধীনতা ও সম্ভাবনা, তা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা মাকতাবায়ে আবুল হাসান আলি নদভি নামে একটি ছোট সেন্টার খুলেছি। সেখানে প্রতিদিন গড়ে তিনশো লোককে মুসলমান হওয়ার দীক্ষা দিতে হয়। এতো এতো লোককে কালেমা পড়ানো হচ্ছে যে, মাঝে মাঝে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আমরা ইন্ডিয়ার একদম সীমান্তবর্তী এলাকায় চারশোর মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য। শিখদের এলাকায়, মুরতাদদের এলাকায়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের এলাকায় আমরা আমাদের কার্যক্রম অত্যন্ত শান্তির সঙ্গে করে যাচ্ছি।
সাপ্তাহিক লিখনী : আপনি দেশবিভাগের কথা বললেন। দেশবিভাগের ফলে আসলে মুসলমানদের কী ক্ষতি বা লাভ হয়েছে?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : হ্যাঁ, মুসলমানতো সবাই একই উম্মত। সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে কুরআনের সুরা ফাতেহা পাঠ করে। যেখানে তারা বলে, ‘আমি প্রশংসা করছি সমস্ত পৃথিবীর প্রভু আল্লাহ। আবার রাসুল সা.-এর ব্যাপারেও বলা হয়েছে, ‘আমি তাকে সমগ্র পৃথিবীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ কুরআনের ব্যাপারেও বলা হয়েছে, ‘আমি কুরআনকে সমগ্র মানবজাতির হেদায়েতের জন্য পাঠিয়েছি।’ এ কারণেই আমাদের প্রভুও এক, আমাদের নবিও এক, আমাদের কুরআনও একটিই। একারণে আমাদের ধর্মও এক আর আমাদের হেদায়েতের রাস্তাও একটিই।
দেশবিভাগ হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে। আপনাকে একটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে বলছি, দেশবিভাগের পর ভারতের পাঞ্জাবকে ভেঙ্গে তিনটি প্রদেশ করা হয়Ñ পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও হিমাচল। বললে হয়তো বিশ্বাস হবে না, দেশবিভাগের পর সেখানে বিশ হাজার নতুন মসজিদ তৈরি হয়েছে। বড় বড় আলীশান মসজিদ।
সাপ্তাহিক লিখনী : কিছুদিন পর ভারতের জাতীয় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপি নরেন্দ্র মোদিকে তাদের দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ইন্ডিয়ার মুসলমানদের এ নির্বাচন নিয়ে মনোভাব কী? তারা কোন দলের প্রতি তাদের সমর্থন দেবে বলে মনে করেন?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : এটা কেবল ইন্ডিয়ার ব্যাপার নয়, সারা পৃথিবীর ব্যাপারটিই এমন- মানুষ এখন আর একটি দলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছে না। তারা সবাইকেই বাজিয়ে দেখতে চায়। ইন্ডিয়ার মুসলমানরাও রাজনৈতিকভাবে কোনো একটি দলের প্রতি কখনও প্রতিশ্রুতিশীল ছিল না। তারা একেক সময় একেক দলকে সাপোর্ট করে। কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপি। আবার এখন যে আম আদমি পার্টির খুব নামডাক শোনা যাচ্ছে, সেখানেও তাদের অনেকে সমর্থন দিচ্ছে। তারা হয়তো মনে করছে, এই দল তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
সাপ্তাহিক লিখনী : ইন্ডিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান বলবৎ রয়েছে। এ সংবিধানের দ্বারা সেখানকার মুসলমানরা কতোটুকু সুফল পাচ্ছে? যদিও আপনি জানেন, বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম সংবিধানে এই ধর্মনিরপেক্ষতার বিপক্ষেই সবসময় অবস্থান নিয়েছে। আপনাদের কার্যক্রমে কখনো কি সরকারি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : কুরআনে আমাদের দীনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, কাউকে জোর করে তোমাদের ধর্মের ব্যাপারে বাধ্য করা যাবে না। কারো উপর জোর করে আরেক ধর্মের বিধি-বিধান চাপিয়ে দেয়া যাবে না। সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে। আমাদের কাজ আমরা সঠিকভাবে করে যাচ্ছি। আমরা কারো ওপর কোনো জবরদস্তি করছি না। আমাদের কাজও সবার সামনেই হচ্ছে। জনগণ জানে, প্রশাসন জানে, সরকার জানে। তারা কখনও আমাদের কাজের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।
সাপ্তাহিক লিখনী : একজন মুসলমানের জীবন ইবাদত, পারস্পরিক লেনদেন, আচার-আচরণ, রাষ্ট্রনীতি, রাজনীতির সমন্বয়ে গঠিত হয়। সেখান থেকে রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতিকে আলাদা করা কি ধর্মকে বিভাজন করা হয় না?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে ভারতের প্রেক্ষাপটে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ আমার কাছে ধর্মের স্বাধীনতা। ধর্মের স্বাধীনতার মানে আমার দাওয়াতের স্বাধীনতা। যখন আমি দাওয়াতের স্বাধীনতা পাচ্ছি তখন তো আর আমাকে রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। আমি আমার ধর্মের প্রতিটি বিষয়েরই দাওয়াত দেয়ার জন্য স্বাধীন।
সাপ্তাহিক লিখনী : আপনি সারা পৃথিবীতে অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াতের এক বড় কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন। কিন্তু ভারতের অবস্থা কী? সেখানে তো প্রচুর খ্রিস্টান মিশনারি রয়েছে, যারা হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রচুর পরিমাণে খ্রিস্টান বানাচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা কী?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : হ্যাঁ, হিন্দুস্তান বড় দেশ হওয়ার কারণে সেখানে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন তাদের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে এবং অনেককে তাদের দাওয়াত কবুলও করাচ্ছে। কাদিয়ানিরাও তাদের দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও মানুষ মুরতাদ হয়ে যাচ্ছে। তবে এ প্রবণতা এখন অনেকটা কম। একবার আমরা খবর পেলাম কাশ্মিরে খ্রিস্টানদের দাওয়াতের ফলে অনেক মানুষ খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে। আমরা সেখানে আমাদের দায়িদের পাঠালাম। তো আমরা সেখানে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করলাম, যে এই দাওয়াতের মূল ছিল। সে একজন জাপানি ছিল। আমরা তাকেই ইসলামের দাওয়াত দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ! সে মুসলমান হয়ে গেলো। এভাবেই আমরা আমাদের সতর্কতা সব জায়গায় বিস্তৃত করে রেখেছি।
সাপ্তাহিক লিখনী : খেলাফতের বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? খেলাফতব্যবস্থা কি পৃথিবীতে আবার কায়েম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : অব্যশই সম্ভাবনা আছে। দীন যতোদিন থাকবে ততোদিন খেলাফতের সম্ভাবনা দুনিয়াতে থাকবে।
সাপ্তাহিক লিখনী : আমাদের যে দাওয়াত পদ্ধতি তাবলিগ, আত্মশুদ্ধি, দাওয়াত; এর দ্বারা কি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : পৃথিবীর রাজনীতি সবসময় পরিবর্তনশীল। একটা সময় ছিল তলোয়ারের শক্তি, এরপর বন্দুক, কামানের শক্তিই বড় ছিল। গত শতাব্দীতে এটম বোমার শক্তি দিয়ে বিশ্বশক্তি নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু এখন হচ্ছে ভোটের শক্তি। এই যুগ ভোটের শক্তি দ্বারা নির্ধারিত হচ্ছে। এখন আদর্শিক লড়াইয়ের সময়। ভোট বর্তমান সময়ে সবচে বড় নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। আর এই ভোটের শক্তিকে প্রভাবিত করার জন্য দাওয়াতের চেয়ে বড় আর কোনো হাতিয়ার নেই।
যদি কেউ আমাদের মতে দ্বিমত করে তবে আমরা যদি তাকে হত্যা করি বা বলপ্রয়োগ করি তাহলে তার সঙ্গে, তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা সৃষ্টি হবে। সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমরা যদি দাওয়াতের মাধ্যমে তাকে আমাদের মত গ্রহণ করাতে পারি তাহলে তার শত্রুতাও শেষ হয়ে গেলো, আমরাও নতুন একজন দায়ি পেলাম।
সাপ্তাহিক লিখনী : গণতন্ত্রে ভোটের যে সিস্টেম ধর্মীয় দৃষ্টিতে এটাকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : ইসলাম তো সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকেই সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং সে মতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে বলেছে। সেদিক বিবেচনায় ভোটিং সিস্টেমটাকে মন্দের ভালো বলা যায়।
সাপ্তাহিক লিখনী : ইসলামে যে জিহাদের কথা বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে আমরা অনেক জায়গায় এর প্রভাব দেখতে পাই। আপনার কাছে এর বাস্তবতা কতোটুকু?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : ইসলাম তো প্রথমে দাওয়াতের কথা বলে। আগে দাওয়াত দিতে হবে। যখন দাওয়াতের দ্বারা কাজ হবে না, দাওয়াত সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার পরও তারা তা কবুল করবে না তখনই জিহাদের প্রশ্ন আসবে। কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের দাওয়াত এখনও পূর্ণতায় পৌঁছেনি।
সাপ্তাহিক লিখনী : এবার আপনার দাওয়াতি কার্যক্রমের বিষয়ে কথা বলি। তাবলিগ জামাতের দাওয়াতি কার্যক্রমের পরও আপনার আলাদাভাবে দাওয়াতের কার্যক্রম চালানোর প্রয়োজনীয়তা কেন মনে করছেন?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : আমার এ কাজ তাদেরই কাজ। এ কাজ দীনের কাজেরই একটা অংশমাত্র। আমাদের কাজ আলাদা কিছু নয়।
সাপ্তাহিক লিখনী : দাওয়াতের এই কাজে মিডিয়ার কী ভূমিকা কতোটুকু? আপনি কি এই কাজে মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : মিডিয়া তো আমাদের কাজের জন্য অবশ্যই দরকারি। এ সময়ে মিডিয়া ছাড়া কোনো কাজের কথা চিন্তাই করা যায় না। তবে সেগুলোকেও আমাদের মুসলমান বানাতে হবে। পত্রিকাকে মুসলমান বানাতে হবে, টিভি ক্যামেরাকে মুসলমান বানাতে হবে, কম্পিউটারকে মুসলমান বানাতে হবে। তবেই সেটি আমাদের কাজে ফায়দা দেবে।
সাপ্তাহিক লিখনী : ছবি এবং ভিডিও’র ব্যাপারে আপনাদের মতামত কী?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : ছবি তো এই জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে যে, এর দ্বারা গোনাহ’র কাজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি তা গোনাহ’র সম্ভাবনা না রাখে তাহলে জায়েজ ছবির ব্যাপারে চিন্তা করা যেতে পারে। আর ভিডিও তো সর্বোতভাবে জায়েজ। বিশ্বের অনেক প্রান্তে আমরা যেতে না পারলেও মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের দাওয়াত চলে যেতে পারে।
সাপ্তাহিক লিখনী : ইসলামের এই যে দাওয়াত চলছে এই দাওয়াতের দ্বারা অন্যান্য অমুসলিম দেশও কি ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেবে? সারা দুনিয়ায় ইসলাম প্রসার হবে? যদিও রাসুল সা. বলে গেছেন মদিনার ইসলাম একদিন মদিনায় চলে যাবে!
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : দাওয়াত তো আমাদের জিম্মাদারি। যদি আমরা দাওয়াত না দেই তাহলে আমরা গোনাহগার হবো। উম্মতের জন্য দাওয়াতের কাজ পূরণ করা ফরজে কেফায়া। এখন দশজন মিলে যদি ফরজে কেফায়া পরিপূর্ণভাবে আদায় করে তাহলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আর যদি দশজনের দ্বারা এই কাজ সম্পন্ন না হয় তাহলে দুনিয়ার সব মুসলমান গোনাহগার হবে। এখন আমাদের দেখতে হবে আমরা যারা দাওয়াতের কাজ করছি তারা কি দাওয়াতের কাজ পরিপূর্ণভাবে করতে পারছি নাকি আমাদের কাজের মধ্যে কমতি রয়ে যাচ্ছে? যদি কাজের মধ্যে কমতি থাকে তাহলে আরও বেশি লোকের এই কাজে সম্পৃক্ত হওয়া আমাদের সবার জন্য ফরজ।
সাপ্তাহিক লিখনী : এবার বাংলাদেশে এসে আপনার কেমন লাগছে?
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : বাঙালিরা তো ঐতিহাসিকভাবে আগেবপ্রবণ জাতি। বড় মুহাব্বতওয়ালা মানুষ বাঙালিরা। দীনের প্রতি তাদের মুহাব্বতও আমি দেখেছি। এবার এসে তার প্রমাণ আবারও পেলাম। আল্লাহ এই জাতিকে সারা পৃথিবীর মানুষের হেদায়েতের ওসিলা করুন।
সাপ্তাহিক লিখনী : আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মাওলানা কালিম সিদ্দিকি : আপনাকেও শুকরিয়া জানাচ্ছি। ফেসবুকে প্রকাশিত