“প্রতিটি মুসলমানের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা আপনাদের জীবনের টার্গেটটি বুঝুন। ইসলামকে মানবতার আমানত মনে করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ভাবুন”। কথাগুলো বাবরি মসজিদ ধ্বংসে সর্বপ্রথম আক্রমণকারী নওমুসলিম ভাই মুহাম্মদ আমেরের। কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন শিবসেনার সদস্য হিসেবে একসময় প্রচণ্ড মুসলিম বিদ্বেষী ছিলেন। কিন্তু আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে হিদায়াত দান করেছেন।
মুজাফফরনগরের কট্টর হিন্দু ও অপরাধ প্রবণ পরিবারে জন্ম নেয়া আহির(বর্তমান নাম আবদুল্লাহ), যার হাতে শতাধিক মুসলমান শাহাদত বরণ করেছিলেন, ইসলাম গ্রহণের দায়ে যিনি নিজ ভাতিজিকে পর্যন্ত আগুনে পুড়িয়ে শহীদ করেছিলেন, আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকেও ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য দান করেছেন।
ভাই মুহাম্মদ আমের, ভাই আবদুল্লাহসহ অগণিত মানুষ যে মহান ব্যক্তিত্বের দাওয়াতের ফলে হিদায়াতের সৌভাগ্য লাভ করেছেন, তিনি হচ্ছেন মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) –এর খলীফা, দাঈয়ে ইসলাম মাওলানা কালিম সিদ্দিকী (দা. বা.)।
আগামীকাল মাওলানা কালিম সিদ্দিকী হাফিজাহুল্লাহ সিলেট আসছেন। সকাল এগারোটায় বিশ্বনাথ বরণী মাদরাসায়, বাদ যোহর জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহ মাদরাসা কর্তৃক দরগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত উলামা ও সুধী সমাবেশ এবং বাদ মাগরিব কাজির বাজার মাদরাসায় বয়ান রাখবেন।
তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণকারী নওমুসলিমদের সাক্ষাতকার বিষয়ক “ভারতীয় নওমুসলিমদের ঈমানজাগানিয়া সাক্ষাতকার” গ্রন্থটি পড়লে অবিশ্বাস্যই মনে হবে। একজন মানুষের কথায় কিভাবে এমন প্রভাব থাকতে পারে যে, কয়েক মিনিটের আলাপনে মানুষ ধর্ম বদলের জন্য তৈরি হয়ে যায়!
হাতে সময় থাকলে যে কোনো একটি সমাবেশে অংশ নিতে পারেন। অনেক সময়ই তো আমরা অনর্থক কাজে ব্যয় করি। একদিন অল্প সময় এই মহান ব্যক্তিত্বের বয়ান শুনার জন্য ব্যয় করলে খুব একটা ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুক। ফেসবুকে প্রকাশিত