আজ ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক আহমেদ রাজিব হায়দার ওরফে থাবা বাবার ১ম মৃত্যুবার্ষিকী। থাবা বাবার মৃত্যু নিয়ে যেমন কিছু আক্ষেপ আছে তেমনি রয়েছে অফুরান আনন্দ।
“নূরানী চাঁপা শরীফ” শিরোনামে প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে রাজিবের কুরুচিপূর্ণ লেখাগুলো নামমাত্র মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হানার জন্য যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ, বিপক্ষ শক্তির নামে বিভেদ তৈরির মাধ্যমে কিছু জেনে বুঝে কিংবা অজান্তে সাধারণ শিক্ষিত মুসলমানদের একটি শ্রেণী রাজিবকে সমর্থন করেছিলো। যাঁদের মধ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। প্রচণ্ড ধর্ম বিদ্বেষী রাজিবের জানাযা পড়ানো হয়েছিলো। জাতীয় সংসদে দ্বিতীয় তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ আখ্যায়িত করে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছিলো। এক নর্দমার কীটের চাইতে জঘন্য অমানুষের এতো প্রাপ্তি আমার মতো অনেকের আক্ষেপের কারণ হতে বাধ্য।
যদিও ইনকিলাব ও আমার দেশের কল্যাণে সাধারণ মানুষের কাছে থাবা বাবার কুকীর্তির সংবাদ দ্রুত পৌঁছে যাওয়াতে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়নি। তবে সন্দেহ ইসলাম বিদ্বেষী একজন নাস্তিককে নিয়ে দেশের হর্তাকর্তাদের লাফালাফি সাধারণ মুসলমানদের হৃদয়ে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছিলো।
থাবা বাবার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উত্থান ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অনেক বড় পাওনা। হেফাজতে ইসলামের বাহ্যিক সাফল্য ব্যর্থতার বদলে আমরা যদি এই দলের উত্থান পরবর্তী ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির অবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করি, তবে আমার ধারণা দুঃখ আমাদের স্পর্শ করবে না।
হেফাজতের কারণেই তো শাহবাগের হর্তাকর্তারা একসময় রাজিবকে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না বলে দাবী করতে বাধ্য হয়েছিলো। ডঃ ইমরান এইচ সরকার পাঞ্জাবী টুপি পরে ফেসবুকে ছবি আপলোড করে নিজেকে ধার্মিক প্রমাণের চেষ্টা করেছিলো। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং কওমী মাদরাসা জঙ্গি তৈরির কারখানাসহ ভ্রান্ত সব দাবিকে অস্বীকার করেছিলো। রাজিব হায়দারের মৃত্যু ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীকে বেশ থমকে দিয়েছিলো। এক থাবা বাবা অনেকের লেখনিতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। সরকার অনেকগুলো ধর্ম বিদ্বেষী সাইট বন্ধ করে দিয়েছিলো। এই প্রাপ্তিগুলো কখনোই অল্প নয়।
সবচেয়ে বড় পাওনা, এই সময়ে ধর্ম বিদ্বেষীদের নোংরা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পেরে কওমী মাদরাসা সংশ্লিষ্ট বিশাল একটি দল ব্লগ এবং ফেসবুকে যোগ দিয়েছে। এখন অনলাইন আর ফাঁকা মাঠ নয়। যদিও অনেক পরিকল্পনা ও পরিবর্তন প্রয়োজন। এতো কিছু যখন হয়েছে ইনশাল্লাহ এটুকু তো হয়েই যাবে।
সর্বশেষ একটি দুঃসংবাদ দিয়ে লেখাটা শেষ করছি। থাবা বাবার মৃত্যু পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাস্তিক্যবাদীগোষ্ঠী কর্তৃক বাংলা ভাষায় পরিচালিত সবচেয়ে নোংরা সাইট ধর্মকারী ব্লগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এই সাইট সম্পর্কে বেশি কিছু বলে পরোক্ষ প্রচারণার অংশ হতে চাই না। শুধু এটুকু যেনে রাখুন; রাজিব হায়দারের নূরানী চাঁপা ব্লগের সাথে ধর্মকারী ব্লগের পার্থক্য তো নেই, বরং পরিধি বিবেচনায় ধর্মকারী ব্লগ অনেক বেশি খারাপ। দীর্ঘ একবছর পর আজ আবার সেই ব্লগটি চালু হয়েছে। সরকার চাইলে ব্লগটি মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ করে দিতে পারবে। এই ব্লগটি যাতে শিগ্রই বন্ধ হয়ে যায় এজন্য আল্লাহ্ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি। ফেসবুকে প্রকাশিত