মানবজাতির কল্যাণে ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধান যেরূপ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে; অন্য কোনো ধর্ম তার ধারেকাছেও পৌঁছেনি। ইহকাল থেকে পরকাল পর্যন্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের নীতিকথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মেই রয়েছে। ফলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়; ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য প্রয়োজন কেবল সুস্থ ভাবনা।
সত্যিকারের মুসলমানদের বিশ্বাস স্থাপনের জন্য যুক্তি কোনোকালেই অন্তরায় ছিলো না। কেননা ঈমানের মূলেই রয়েছে “অদৃশ্য সত্ত্বার উপর বিশ্বাস স্থাপন”। তবে শয়তান যাঁদের কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করেছে, তারাই যুক্তির নিরিখে ধর্মকে যাচাই করতে চেয়েছেন। কিন্তু এই যাচাইকরণ ইসলামের জন্য কোনোকালেই ক্ষতিকারক হয়ে উঠেনি।
সাধারণ শিক্ষাকে ধর্ম থেকে পৃথকীকরণের ফলে মুসলমানরা বৃহৎ একটি অংশের ধর্ম সম্পর্কে জানাশুনার সুযোগ অল্পই হয়ে থাকে। বিশেষভাবে যেসব দেশে উত্তরাধিকার সূত্রে মানুষেরা মুসলমান। তেমনি একটি দেশ বাংলাদেশ। যেখানে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও সাধারণ মানুষের বিশাল একটি অংশ ধর্ম সম্পর্কে ভালোমতো অল্পই জানেন। ফলে তাঁদের বিশ্বাস যথাস্থানে থাকলেও সেই বিশ্বাস ততোটা পোক্ত থাকে না। এই কারণে দেশের বৃহৎ একটি অংশের কাছে; অন্য ধর্মের মতো ইসলাম কেবল একটি প্রথাগত ধর্ম হিসেবেই পরিগণিত; পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণীয় হয় না।
ধর্মের প্রতি এই উদাসীনতার কারণ খুঁজলে অনেক কিছু সামনে আসে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে; ধর্মীয় বিধি-বিধান পালনে মানুষের উপকার কতোটুকু হচ্ছে, ভালোমতো জানা হয় না। আর দূষিত সমাজ তাঁদের ভাবনাকেও সত্যের সন্ধানে বাঁধা প্রদান করে। ফলে ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সত্যিকারের ধার্মিক হয়ে উঠার মতো ভাবনা বর্তমান সময়ে দুষ্কর।
একারণে একজন চিন্তাশীল মুসলমানের উচিত; সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামের প্রকৃত আলোকে পৌঁছে দেয়া, যাতে তাঁরা ইসলামকে শুধু প্রথাগত একটি ধর্ম নয়, জীবন চলার পথ হিসেবে গ্রহণ করেন। আর এই দাওয়াতের উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে অনলাইন।
অনলাইনে সাধারণ মানুষের উপকারের মতো বৃহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। অপরিকল্পিত কাজ লক্ষ্যের শেষপ্রান্তে হলেও অসম্পূর্ণতা নিয়ে আসে। অতএব এখন ভাবতে হবে; কি ধরনের পরিকল্পনা দরকার? ফেসবুকে প্রকাশিত