রাশেদ এবং হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুর্ভাগ্যক্রমে দুজনই অশিক্ষিত। রাশেদ যেকোনো সমস্যায় এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আহমদ সাহেবের কাছে দৌড়ে যায়। আহমদ সাহেব বিভিন্ন বই পুস্তক খুঁজে রাশেদের সমস্যার সমাধান দেন। এভাবেই সবকিছু চলছিলো।
একদা রাশেদ তার বন্ধু হাসানকে আহমদ সাহেবের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো; যাতে বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধায় হাসান, আহমদ সাহেবের মাধ্যমে সঠিক পথ খুঁজে পায়।
এখন হাসানও বেশ খুশি। যেকোনো ঝামেলাতেই সে আহমদ সাহেবের কাছে ছুটে যায়।
এভাবে যখন দিন চলে যাচ্ছিলো, একদিন আহমদ সাহেবের বই পত্র দেখে দেয়া পরামর্শ রাশেদের পছন্দ হলো না। সে ভাবলো, আমার মনে যা আসছে সেটাই সঠিক আর আহমদ সাহেবের পরামর্শ ভুল। তখন সে আহমদ সাহেবের পরামর্শ মানতে অস্বীকৃতি জানালো এবং তার অশিক্ষিত বন্ধু হাসানকেও বললো; তুমি আহমদ সাহেবের পরামর্শ আর গ্রহণ করো না। তার পরামর্শ ভালো না।
(রাশেদ ইতিপূর্বে হাসানের কাছে আহমদ সাহেবের প্রশংসা করেছিলো এবং তার কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহনের বুদ্ধি দিয়েছিলো। কিন্তু যখনি আহমদ সাহেবের পরামর্শ তার মতের বিপরীত হলো সে বন্ধু হাসানকে নিষেধ করলো। এখন হাসানের জন্য রাশেদের কথা গ্রহন করা যৌক্তিক কিনা? বিজ্ঞ পাঠক মাত্রই উত্তর দিবেন; হাসানের জন্য রাশেদের কথা গ্রহণ করা যৌক্তিক নয়। কেননা রাশেদ নিজেই যেখানে অশিক্ষিত; তার পক্ষে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়ে আহমদ সাহেবের ভুল শুদ্ধ যাচাই করা সম্ভব নয়।)
★★যুক্তির সাথে ওহীর পার্থক্য ঠিক অনুরূপ। যুক্তি ওহীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। অতঃপর ওহীর বিরুদ্ধে যুক্তির কথা গ্রহণীয় হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
★আহমদ সাহেব, রাশেদ, হাসান নামগুলো কাল্পনিক। কেউ আহমদ সাহেবকে আহমদ শফী, রাশেদকে রাশেদ খান মেনন আর হাসানকে হাসানুল হক ইনু মনে করবেন না। ফেসবুকে প্রকাশিত