(১)
বিগব্যাং মহাবিশ্ব সৃষ্টির একটি তত্ত্ব বিশেষ। বিজ্ঞানীদের এই তত্ত্ব অনুসারে ১৩.৭৯৮± ০.০৩৭০০ কোটি বৎসর আগের একটি বিশাল বস্তুপিণ্ডের বিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল।
পবিত্র কুরআনের সুরা আম্বিয়ার ৩০নং আয়াতে- পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে> “যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা কি দেখে না যে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী উভয়ে একাকার ছিল, তারপর আমরা স্ববেগে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম।
(পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবী বাসী ছিলো না। যখন পৃথিবী সৃষ্টি হলো; তাতে মানুষেরা আগমন করলো। ভালো মন্দ কর্মের মাধ্যমে পরকালে নিজের জন্য জান্নাত কিংবা জাহান্নামে জায়গা গ্রহণ করতে লাগলো।)
(২)
দারুল উলূম দেওবন্দের সূচনা থেকেই কওমী মাদরাসা উপমহাদেশীয় মুসলমানদের একমাত্র পথপ্রদর্শক। ব্রিটিশ শাসন, স্বাধীন ভারত পাকিস্তান অতঃপর বাংলাদেশ। পুরো সময়টাতেই কওমী পন্থীরা ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে কাজ করেছেন। তবে জায়গা ভেদে কাজের ধরণ ছিলো ভিন্ন। ভারতের অধিকাংশ মুসলমানদের কাছে দারুল উলূম দেওবন্দ আজও মুসলমানদের প্রতিনিধি হিসেবে স্বস্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের উলামায়ে কেরামও তুলনামূলক ভাবে সাধারণের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখেন। তাদের কাজের স্বীকৃতিও পাকিস্তানী মুসলমানেরা দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। ব্যতিক্রম কেবল বাংলাদেশ। অনস্বীকার্য যে, কওমী মাদরাসার সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা অস্পষ্টতা উভয়ের মাঝে বিদ্যমান। মসজিদ, মাদরাসা পরিচালনা, ওয়াজ, দাওয়াত …… বাদ দিলে সাধারণের সাথে কওমী মাদরাসার সম্পর্ক নেই বললেই চলে। ফলে আমরা কি করছি, কেন করছি, কিভাবে করছি এমন অনেক কিছুই সাধারণের অজানা।
(৩)
মাদরাসা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কুরআন ও হাদীসের সংরক্ষণ এবং জাতির পথপ্রদর্শন। প্রথমটি তো ভালোমতোই চলছে। কিন্তু দ্বিতীয়টি কতোটুকু হচ্ছে একটু হলেও ভাবা উচিত নয় কি?
আমরা তো ভালমতোই রাওয়াফিজ, খাওয়ারিজ চিনি। দেওয়ানবাগী আর মাইজভাণ্ডারী সম্পর্কে কতোটুকু জানি?
মুসাইলামাতুল কাজ্জাব, তুলাইহা, আসওয়াদ আনাসী, গোলাম আহমদ কাদিয়ানি, ভন্ড মহিলা নবী দাবীদার সাজাহকে চিনি। একজন আসিফ মুহিউদ্দিন, অভিজিৎ রায়কে কতটুকু জানি?
সম্ভবত সময় চলে এসেছে জানার। অন্তত দায়িত্ব আদায়ের স্বার্থে হলেও।
(৪)
আমি কওমী মাদরাসায় পড়ি আর আমি এই কারণে গর্বিত যে, মাদরাসায় পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।
আমরা কেমন ছিলাম ইতিপূর্বে অনেকেই ভাবেনি। যখন ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম রুখে দাঁড়ালো তখন অনেকের কাছে প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়ালো এরা কারা? অথচ আমরা তো অপরিচিত নই।
যাক, যখন প্রশ্ন চলেই এসেছে উত্তর দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। সেই সাথে এও জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন, অন্য কেউ নয় >চৌদ্দশ বছরের আমরা এক কাফেলা। ইলমের ঈমানের আমরা এক কাফেলা। আমরা আলোর ইশারা, নূরের ফোয়ারা। মহাকালের অন্ধকারে রৌশন সিতারা। আমরা সত্যের অভিসারী, উম্মাহর অতন্দ্র প্রহরী। যুগে যুগে শত দুর্যোগে আমরা পথের দিশারী।
*শুরুর অংশগুলো অপ্রাসঙ্গিক। কোনো কিছুর সাথে মিল খোঁজার প্রয়োজন নেই। ফেসবুকে প্রকাশিত