যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যস্ততা বৃদ্ধির ফলে দারসের নির্ধারিত সময়ে কোনো কোনো উস্তাযের পক্ষে কিতাব সমাপ্ত করা সম্ভব হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে খারিজী ক্লাসের প্রয়োজন হয়। আজও হয়েছিলো। বিভিন্ন প্রয়োজন, দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির ফলে আম্মুর হালকা বাধাকে উপেক্ষা করে আমি প্রায়ই উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। আজও সন্ধ্যার পর গিয়েছিলাম। এশার পূর্বে ছুটি হলে তালতো ভাই, দাওরায়ে হাদিসের সৈয়দ আবু ইউসুফের সাথে আম্বরখানায় নামাজ পড়তে চলে এলাম। যথাসময়ে নামাজ শেষ হলে ইউসুফ ভাই চা খাওয়ানোর কথা বলে মসজিদ সংলগ্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন।
রেস্টুরেন্টটি আম্বরখানা পয়েন্টের একেবারে কাছেই অবস্থিত। দ্বিতলায় বসে চা খাচ্ছি, আচমকা চিৎকার শুনে জানালার পাঁশে গিয়ে দেখি, মানুষ উন্মাদের মতো ছুটোছুটি করছে। উল্লেখ্য, আম্বরখানা পয়েন্ট সিলেটের প্রধান ২/৩ টি পয়েন্টের একটি। জানালার গ্লাস খোলা ছিলো। সার্ভিস ম্যানকে বললাম, জলদি গ্লাস লাগিয়ে দিন। সে গ্লাস লাগিয়ে দিলো। প্রথম তলা থেকে ম্যানেজার এসে বলল, রেস্টুরেন্ট ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গ্লাসের ভেতর থেকে তাকিয়ে দেখি; যে যেভাবে পারছে দৌড়ুচ্ছে। পুলিশ প্রস্তুত হয়ে পয়েন্টের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েক মিনিটেই পুরো রাস্তা ফাকা হয়ে গেলো।
ইউসুফ ভাইকে বললাম; আপনি গলির ভিতর দিয়ে মাদরাসায় চলে যান। আমি বাসায় চলে যাই। মারামারি শুরু হলে ঝামেলায় পড়ে যাব। তিনি রাজি হলেন। বিল মিটিয়ে আমরা নিজ নিজ রাস্তা ধরলাম। কয়েক সেকেন্ড হেঁটে আসতেই একটি অটো পেয়ে উঠে বসতেই কোথা থেকে একটি পুলিশ এসে রাস্তার পাঁশে দাঁড়িয়ে সবগুলো গাড়ী সরিয়ে দিলো। পুলিশের আক্রমণাত্মক আচরণ দেখে, আমার ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে যাত্রা করলো এবং কয়েক মিনিটেই মধ্যে বাসায় চলে আসলাম। আগামী দিনগুলোও দৌড়ের উপর কাটবে কিনা ভাবনায় আছি। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন। ফেসবুকে প্রকাশিত