মানুষ তার জীবনে খুব সংক্ষিপ্ত সময়কে ধারণ করে। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের তুলনায় ইহকাল মূল্যহীন। মানুষের গড় আয়ু মাত্র ৬৭.৭ বছর। তবুও মানুষ পৃথিবীকে রঙিন চোখে দেখে। একটু স্বাচ্ছন্দ্য একটু সুখের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত কষ্টের পাহাড় বহন করে।
কিন্তু সুখ শেষ পর্যন্ত তার নাগালে আসে কিনা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। বাহ্যিক-ভাবে যেটুকু অনুভূত হয়, সুখে থাকার জন্য মানুষের প্রচলিত ধ্যান ধারণা শেষ পর্যন্ত সফলতা নিয়ে আসে না।
সুখ তবে কোথায় লুকায়িত? আমার ধারণা, সুখের খোঁজে ছুটতে থাকা মানুষের মধ্যে অল্প সংখ্যক মানুষই প্রশ্নটি নিয়ে ভাবে। ধর্ম মানুষকে সুখের ঠিকানা বলে দিলেও ধর্মের আলোকে সুখের সন্ধান পেতে আমাদের অনীহা। সরল পথ আমাদের ভ্রান্তিতে ভরপুর কল্পলোকের কাছে সরল মনে হয় না! ব্যর্থ জীবন গ্রহনের প্রথম ত্রুটি এখানেই নিহিত।
ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারণা, বর্তমান পৃথিবীর প্রচলিত ধ্যান ধারণা মানুষকে পরিপূর্ণ সুখের সন্ধান দিতে সক্ষম নয়। কেননা সুখ খুঁজতে গিয়ে কখনো কখনো আমরা “ঘৃণা, হিংসা, লোভ, প্রতারণা, অহংকার” ইত্যাদির দ্বারস্থ হই। আর নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বিশ্বাসী মানুষদের কাছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই এর সবকটি আক্ষেপের উপাদান হয়ে থাকে।
জীবন ছোট্ট হলেও বিভিন্ন বাঁকে বিভক্ত বলে একটি খাতায় জীবনের পূর্ণ উপাখ্যান চিত্রায়ন অসম্ভব। মানুষ সুখের জন্য সুস্থ ভাবনাকে দূরে রেখে অনেক কর্মই করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ ছাড়া ভিন্ন কিছু অর্জিত হয় বলে মনে হয় না। ফেসবুকে প্রকাশিত