>>>দেওবন্দ বিরোধী অপপ্রচারের মূল হোতা রাজারবাগী ভণ্ড পীরের ভ্রান্ত আক্বিদার ধারাবাহিক বিশ্লেষণ<<<
রাজারবাগী ভণ্ড পীর দিল্লুর রহমান স্বীয় ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯১ ঈসায়ী হতে নিয়মিত “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” প্রকাশ করে আসছেন। মনগড়া বা কল্পনাপ্রসূত কথাবার্তা, উলামায়ে কেরাম সম্পর্কে গালিগালাজে ভর্তি থাকে “আল বাইয়্যিনাত”।
অথচ ভ্রান্ত কথাবার্তায় ভরপুর সেই আল বাইয়্যিনাতের গুরুত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রাজারবাগী ভণ্ড মিথ্যা স্বপ্নের আশ্রয় নিয়েছেন> একদা দিল্লুর রহমান স্বপ্নে দেখেন, ফুরফুরার হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক (রহঃ)-এর বিশিষ্ট খলীফা মাওলানা রুহুল আমীন (রহঃ) এক মাহফিলে ওয়াজ করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সমবেত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন> দেখ আমি আগে “আল বাইয়্যিনাত” পড়তাম না। আমাকে সর্বপ্রথম এটা পড়তে বলেন হাদীসের বিখ্যাত ইমাম দাইলামী (রহঃ)। তারপর বলেন খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী (রহঃ)।
অতঃপর আমি এক বন্ধুসহ গেলাম মদীনায় প্রিয় নবীজি (সা:) এর জিয়ারতে; নবীজিও আমাকে বললেন : “আল বাইয়্যিনাত” পড়তে। তিনি আরও বললেন> দেখ যারা “আল বাইয়্যিনাত” এর বিরোধিতা করবে, তারা হালাক-ধ্বংস হয়ে যাবে, তারা ঈমান হারা হয়ে মারা যাবে। এরপর থেকে আমি “আল বাইয়্যিনাত” পড়ি।
“মাসিক আল বাইয়্যিনাত” জুলাই ১৯৯৯ সংখ্যার ১৪৩ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে “আল্লামা রুমী (রহঃ) এর মসনবি শরীফকে যেমন ফার্সি ভাষায় ‘কুরআন শরীফ’ বলা হয়, তদ্রূপ আল বাইয়্যিনাতও যেন বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ”।
কিন্তু রাজারবাগির ভাষায় সম্মানিত “আল বাইয়্যিনাত” খুঁজলে দেখা যায়, সেখানে শায়খুল হাদীস আজিজুল হক (রহঃ),চরমোনাই’র মরহুম পীর সাহেব (রহঃ), মাসিক মদীনার সম্পাদক মুহিউদ্দীন খান (দা: বাঃ), আল্লামা আহমদ শফী (দা: বাঃ) প্রমুখ দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরামকে >উম্মতে মুহাম্মদী হতে খারিজ, মাওসেতুং ও গান্ধীর ভাবশিষ্য, শয়তানের পোষ্যপুত্র, মুশরিক, মুনাফিক, ধোঁকাবাজ, ভণ্ড, জাহেল, গোমরাহ, কাজ্জাব, কমীনা, জেনাখোর, নফসের পূজারী, মালাউন ইত্যাদি উল্লেখের অনুপযুক্ত গালিগালাজ করা হয়।
>স্বপ্ন শরীয়তের দলীল নয়। অথচ স্বপ্নকে দলীল বানিয়ে রাজারবাগী ভণ্ড “আল বাইয়্যিনাত” কে কুরআনের সাথে তুলনা করেছেন। পবিত্র কুরআন যেখানে ইসলাম বিরোধীদের সমালোচনার ক্ষেত্রে শালীনতার শিক্ষা দিয়েছে, সেখানে দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরামকে গালিগালাজ করে সেই গালিগালাজ ভর্তি পত্রিকাকে কুরআনের সাথে তুলনা করে রাজারবাগী মূলত নিজের জাতকে সুস্পষ্ট করেছেন।
আল বাইয়্যিনাতের বিরোধিতা করলে ঈমান হারা হয়ে যাবে বলে দাবী করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে, তিনি “আল বাইয়্যিনাত” কে প্রকৃত কুরআনের সমতুল্য দাবী করছেন। অথচ কুরআনের চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী> কুরআনের সমতুল্য একটি ছোট আয়াতও কেউ সৃষ্টি করতে পারেনি এবং পারবে না।
সুতরাং “আল বাইয়্যিনাত” কে কুরআনের সমতুল্য দাবী করে রাজারবাগী পবিত্র কুরআনের সাথে উপহাস করেছেন। কুরআনকে অবমাননা করেছেন। আচরণের দিক থেকে রাজারবাগী নিজেকে মক্কার মুশরিক অথবা এরচেয়েও নিকৃষ্ট অবস্থানে নিয়ে গেছেন। ফেসবুকে প্রকাশিত