দস্তার রাজদরবারের মিথ্যাচারে ভর্তি লেখাটা দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
জবাব> বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে সর্ব মহলে পরিচিত। ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংসে তার হাত ছিলো। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কট্টর হিন্দুবাদী দল বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। মুসলমানদের ভোট পেতে সে ইতিমধ্যে তার ভোলও পাল্টে নিয়েছে। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে, দেওবন্দী আলেমগণ মোদির বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় শেষপর্যন্ত মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভোট মোদির ঘরে যাচ্ছে না।
>স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের মুসলমানরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে আসছেন। ফলে স্বাধীন ভারতে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় থেকেছে Indian National Congress.(কংগ্রেসের ওয়েবসাইট দেখুন> (কংগ্রেস -এর ওয়েবসাইট)
এই কারণে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর তারা সবসময় দয়ার্দ্র মনোভাব দেখালেও নিয়মিত সমর্থনের প্রতিদান স্বরূপ বাড়তি সুযোগ সুবিধা দেয়নি। তবে তাদের সহনশীল মনোভাবের কারণেই আজ পর্যন্ত অন্য হিন্দুবাদী দলের তুলনায় মন্দের ভালো হিসেবে কংগ্রেসই ভারতীয় মুসলমানদের প্রথম পছন্দ।
>নির্বাচনের পূর্বে বাড়তি সুযোগ সুবিধা আদায়ের প্রথা বিশ্বের ইতিহাসে নতুন নয়। ক্ষমতাসীন দলের কাছে সময় সুযোগে সহযোগী সংগঠনগুলো এমন দাবী করে থাকে।
প্রতিটি নির্বাচনেই তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর সমর্থন পেয়ে যায় বলে কংগ্রেস যাতে অবহেলাপূর্ণ মনোভাব না দেখায়; এজন্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ভারতের মুসলিম নেতা মাহমুদ আসআদ মাদানী ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে >সংখ্যালঘুদের মোদী `জুজু` দেখিয়ে ফায়দা তুলতে নিষেধ করেছেন। (দেখুন >প্রথম লিংক >দ্বিতীয় লিংক >তৃতীয় লিংখ (ভিডিও) ) এসব বক্তব্য যে রাজনৈতিক কৌশল বৈ কিছু নয়, এর স্বপক্ষে ভুরি ভুরি প্রমাণ অনলাইনে রয়েছে।
কিন্তু মাহমুদ মাদানির এই বক্তব্যকে না বুঝেই দেওবন্দের সমালোচনায় নেমে পড়েছে দস্তার রাজদরবার নামের অজ্ঞ রাজারবাগী। সে লিখেছে> “এবার নরখাদক নরেন্দ্র মোদির পক্ষে সাফাই গাওয়া শুরু করেছে দেওবন্দ। হুসাইন মাদানির নাতি ও আসাদ মাদানির ছেলে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মাহমুদ মাদানি গত ১৫ই অক্টোবর তার বক্তব্যে এমনটাই ব্যক্ত করেছে। মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেছে, “মুসলিমদের অযথা মোদীকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই৷ কংগ্রেস চেষ্টা করছে মুসলিমদের মোদীর ভয় দেখাতে।” মাহমুদ এর এ বক্তব্য নিঃসন্দেহে মোদির জন্য এক বড় প্রাপ্তি। কারণ নির্বাচনে জিততে কিছুদিন ধরেই মোদী মুসলিমদের মন পেতে চাইছে। কাজেই মাহমুদ মাদানির মোদির পক্ষে নরম অবস্থান নিঃসন্দেহে মোদীকে খুশি করবে। ”
এখানে মাহমুদ মাদানির পরিচয় হিসেবে হুসাইন আহমদ মাদানী ও আসআদ মাদানির পরিচয় উল্লেখ করেছে। হুসাইন আহমদ মাদানির নাতি হওয়ার সুবাধে মাহমুদ মাদানির বক্তব্যকে যদি এতো গুরুত্ব দিতে হয়, তবে হুসাইন আহমদ মাদানির সুযোগ্য ছেলে আরশাদ মাদানির বক্তব্যকে এড়িয়ে যাওয়া কেন!
হুসাইন আহমদ মাদানির সুযোগ্য সন্তান, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি ও দারুল উলূম দেওবন্দের উস্তায আরশাদ মাদানী “মোদী মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়” বলে অজস্র জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছেন, সেগুলো নিপুণভাবে এড়িয়ে গেছে। অথচ হুসাইন আহমদ মাদানির সন্তান, দেওবন্দ মাদরাসার মুহাদ্দিস ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি হিসেবে মাহমুদ মাদানির চাইতে আরশাদ মাদানির বক্তব্য নিঃসন্দেহে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। গুগলে সার্চ করলে আরশাদ মাদানির মোদী বিরোধী বক্তব্যের কয়েক হাজার লিঙ্ক পাওয়া যায় ; অথচ লেখক একটা লিঙ্কও উল্লেখ করলেন না! (সায়্যিদ আরশাদ মাদানির মোদী বিরোধী বক্তব্যের একাধিক লিঙ্ক দেখুন >প্রথম লিংক (ভিডিও) >দ্বিতীয় লিংক >তৃতীয় লিংক >চতুর্থ লিংক >পঞ্চম লিংক
> মাহমুদ মাদানির বক্তব্য যে স্রেফ কৌশল এর স্বপক্ষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হচ্ছে; গুগলে ‘‘Mahmud madani’’ লিখে চিত্র সার্চ করে দেখুন; মোদী বিরোধী কংগ্রেসের একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে মাহমুদ মাদানির ফটো খুঁজে পাবেন। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং এর সাথে একটি ছবি দেখুন >(সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী ও মনমোহন সিং )
কিন্তু মোদির সাথে একটা চিত্রও নেই! বিজেপির অন্য নেতৃবৃন্দের সাথেও গুগলের কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে নেই! এরপরও কোন যুক্তিতে দেওবন্দীরা মোদির সমর্থক বলবেন?
একই ভাবে সায়্যিদ আরশাদ মাদানির সাথে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের চিত্র পাওয়া গেলেও বিজেপির নেতৃবৃন্দের সাথে খুঁজে পাওয়া যায় না দেখুন >(ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সায়্যিদ আরশাদ মাদানী) এসব চিত্র দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় দেওবন্দীরা বিজেপির সাথে সম্পর্ক রাখেন না।
>মাহমুদ মাদানী কিংবা দেওবন্দের কেউ মোদিকে সমর্থনের কথা বলেননি। কেবল কংগ্রেসকে মোদির ভয় দেখিয়ে ভোট চাইতে নিষেধ করেছেন। মুসলমানদের স্বার্থ উদ্ধারে এমন বক্তব্য মাহমুদ মাদানি দিতেই পারেন। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এমন অনেক কিছুই করতে হয়। কিন্তু যাঁদের জ্ঞান স্বল্পতায় ভোগে, তাদের কাছে সেসব ধরা পড়ে না। শেষ পর্যন্ত তো তারা অন্ধ।
>অনলাইনের এই সোনালী সময়ে মিথ্যা বলে পার পাওয়া যে সম্ভব নয়, রাজারবাগিদের গোল্ডফিশ টাইপের মেমোরি সম্ভবত তা ধারণ করতে ভুলে যায়।
*রাজারবাগী গোষ্ঠী! যদি নিজেদের সত্যের অনুসারী মনে করেন এবং সৎসাহস রাখেন তবে যৌক্তিকভাবে মোকাবেলা করেন। দেখি; হ্যাডম কতটুকু আছে! অপেক্ষায় রইলাম! ফেসবুকে প্রকাশিত