>>>দেওবন্দ বিরোধী অপপ্রচারের মূল হোতা রাজারবাগী ভণ্ড পীরের ভ্রান্ত আক্বিদার ধারাবাহিক বিশ্লেষণ<<<
রাজারবাগী ভণ্ড দিল্লুর রহমান নিজেকে আওলাদে রাসূল দাবী করে। সে তার নামের পূর্বে সায়্যিদ, হাসানী, হোসাইনী, কোরাইশী লাগিয়ে রেখেছে। কিন্তু তার আত্মীয়স্বজন নিজেদের সায়্যিদ দাবী করা দূরে থাক, অস্বীকার করেন। রাজারবাগী পীরের দাবী, স্বপ্নে রাসূল (সা:) তাকে আওলাদে রাসূল বলেছেন। এরপর থেকে সে নিজেকে আওলাদে রাসুল পরিচয় দিয়ে থাকে।
রাজারবাগী ভণ্ড পীর নিজের মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন সময় এমন আজগুবি স্বপ্নের আশ্রয় নিয়েছে। তার বক্তব্যে সে বর্ণনা করেছে; একদিন সে স্বপ্নে দেখে> একটি কাঁচের ঘর, যাতে কোন দরজা জানালা কিছুই ছিল না। সেই ঘরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ৪জন ওলীকে বসানোর জন্য ৪ কোনে ৪খানা আসন রাখা হল। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ আউলিয়া ঐ ঘরের চারপাশে ঘুরাঘুরি করছিলেন। সবাই বলাবলি করছিলেন এই ৪টি আসনে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ৪জন ওলীকে বসানো হবে। সকলে ভাবছেন কাকে বসানো হবে। এ অবস্থায় হযরত বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী রহ., খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহ., হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহ. একে একে ৩টি আসনে বসে পড়লেন।
এবার লক্ষ লক্ষ আউলিয়ার মধ্যে বলাবলি হচ্ছিল যে, চতুর্থ আসনটিতে চার তরীকার চারজন ইমামের অবশিষ্ট মহামানব হযরত শায়েখ বাহাউদ্দিন নকশবন্দী রহ. এসে বসবেন। কিন্তু দেখা গেল একজন ফেরেশতা এসে আমাকে (রাজারবাগী) টেনে নিয়ে ঐ আসনে বসিয়ে দিলেন। এ চারজন ছাড়া আর কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
স্বপ্ন শরীয়তের দলীল নয়> স্বার্থান্বেষী কিছু লোক কুরান-হাদিসের উপর স্বপ্নকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তারা স্বপ্নকে অকাট্য দলীল মনে করে। স্বপ্নের মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনোকিছুকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে শরীয়তের সীমারেখাকে লঙ্ঘন করে। অথচ কাজী ইয়ায বলেন: স্বপ্নের মাধ্যমে কোনো নিশ্চিত জ্ঞান অর্জিত হয় না, এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে। ইমাম নববী বলেন: স্বপ্নের দ্বারা কোনো হুকুমের পরিবর্তন ঘটানো যায় না।
যেহেতু শরীয়তে স্বপ্ন দ্বারা কোনো কিছু প্রমাণিত হয় না। সুতরাং যতোই স্বপ্ন বর্ণনা করুক, রাজারবাগির ন্যায় কুফরি আক্বিদা পোষণকারী কখনো বুযুর্গ হতে পারে না। ফেসবুকে প্রকাশিত