(১)
ঈদ পরবর্তী দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটি! অথচ পরিচিত কারো সাথেই যোগাযোগ নেই। ফেসবুকে আসা হয় না। কেউ হয়তো ফোন করেছে; কিন্তু ধরতে পারিনি; কাউকে ফোন করা হয়নি।
অন্য সময় হলে নানা অজুহাত দাঁড় করানো যেত। কিন্তু বন্ধের সময়টাতে প্রতিষ্ঠানকে সময় বরাদ্দ দেয়ার মতো কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সবাই জানে, অফ-সিজনে না চাইলেও কিছু সময় অলস বসে থাকে। তবে কেন এমন করছি?
(২)
তারিখে আরদুল কুরআন> হযরত মাওলানা সায়্যিদ সুলাইমান নদভি রহঃ কর্তৃক লিখিত জগদ্বিখ্যাত একটি রচনা। পবিত্র কুরআনে পৃথিবীর যেসব অঞ্চলের সরাসরি বা ইঙ্গিতে উল্লেখ এসেছে, সেগুলোর প্রাচীন ও নতুন মানচিত্র এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইতিহাসের উপর গ্রন্থটি রচিত হয়েছে। পাশাপাশি সেসব অঞ্চলে বসবাসকারী জাতিসমূহের বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে।
সন্দেহ নেই, এটি একটি বিরল গ্রন্থ। কেননা, এতে সেসব জাতি ও সভ্যতার উপাখ্যান চিত্রিত হয়েছে, যারা অনেক বছর পূর্বে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
(৩)
জালালাইন পড়াতে গিয়ে একদিন উস্তাযে মুহতারাম গ্রন্থটির নাম বলেছিলেন। সৌভাগ্য বলতে হয়, মাস-খানেক পূর্বে হাটহাজারি মাদরাসা সংলগ্ন লাইব্রেরীতে গ্রন্থটি চোখে পড়ে। ব্যাগ ভারী হয়ে যাবে বলে ভ্রমণ সঙ্গীদের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে তখনি কিনে নেই।
বিশ্ব সম্বন্ধে আমার আগ্রহ খুউউউউব বেশি। ফলে প্রচণ্ড আগ্রহ সহকারে পড়ছি। তবে মাত্র ৫২৮ পৃষ্ঠার বইটি প্রাচীন উর্দু ভাষায় রচিত বলে একটু সময় নিয়েই পড়তে হচ্ছে। ছাপাও সুবিধের নয়। তবুও চলতি বন্ধে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে বইটি নিয়ে পড়ে আছি। সো কারো সাথে কেন যোগাযোগ নেই নিশ্চয় বুঝে নিয়েছেন!
একটি ক্ষমাপ্রার্থনা পত্র
০