আলহামদুলিল্লাহ্ হেফাজতে ইসলামের আজকের উলামা সমাবেশের সংবাদ পড়ে বেশ খুশি লাগছে। প্রণীত কর্মসূচী থেকে এটুকু অন্তত সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, হেফাজত আর রাজনৈতিক স্বার্থের বলি হচ্ছে না। তাৎক্ষণিক কর্মসূচী পালন ও সিদ্ধান্ত নেবার জন্য বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে নতুন সাব কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত মানসিক অস্বস্তি পুরোপুরি দূর করে দিয়েছে। বর্তমান এই দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে রাজপথ কাঁপানো কর্মসূচির বদলে বুদ্ধিভিত্তিক আন্দোলন পরিচালনাই যে শ্রেয় এটা প্রণীত কর্মসূচী দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেছে। আল্লাহ্ তায়ালা সবকিছু ভালোমতো পরিচালনার তৌফিক দান করুক।
হাসিব আর রহমান ভাইয়ের স্ট্যাটাস থেকে কর্মসূচী হুবহু কপি করে দিলাম।
জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচি-
——————————
১. কওমী মাদরাসার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ধ্বংস ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ‘কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন- ২০১৩’ বিল সংসদে পাশ করার সরকারি চেষ্টা অবলম্বে বন্ধের দাবিতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২ টায় সারাদেশে একযোগে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা।
২.আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর যে-সকল জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়নি সেসব শাখায় কমিটি গঠন করে এর তালিকা কেন্দ্রে (সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবরে) প্রেরণ করা।
৩. হেফাজতে ইসলামের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ওলামা-সুধী সমাবেশ ও পেশাজীবি সংলাপ এর আয়োজন করা।
৪. আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন এর আয়োজন করা।
৫. ১ লা ডিসেম্বর ’১৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি’১৪ এর মধ্যে প্রত্যেক জেলায় শানে রেসালত সম্মেলনের ব্যবস্থা করা।
৬.শহীদদের জিয়ারত ও শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি কেন্দ্রে প্রেরণ করা।
৭.সরকার যদি হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত তাওহীদি জনতার প্রাণের দাবি ১৩ দফাসহ উত্থাপিত অন্যান্য দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না করলে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।