মাওলানা রাফয়াত ক্বাসিমির লিখিত “মুকাম্মাল ও মুদাল্লাল মাসাইলে তারাবীহ” পড়তে গিয়ে গতরাতে উল্লিখিত মাসাইল পেলাম। সত্যি আমি বেশ অবাক হয়েছি। কয়েকটা বেশ সংক্ষেপ করে অনুবাদ করে দিলাম। হাফিজ বন্ধুদের অনেকেই অবাক হবেন সন্দেহ নেই।
১) প্রশ্ন: (সামিঈ) শ্রবণকারী ব্যতীত রমযান শরীফের তারাবীতে কুরআন মজীদ পড়া বৈধ কি?
উত্তর: যদি কুরআন ভালোভাবে আত্মস্থ থাকে তবে শ্রবণকারী ব্যতীত পড়তে কোনো অসুবিধে নেই। এমতাবস্থায় যদি কোনো ত্রুটি কিংবা সন্দেহ দেখা দেয় তবে সালাম ফেরানোর পর কুরআন খুলে দেখে নিবে এবং ত্রুটি হলে শুধরে নেবে। তবে শ্রবণকারী রাখা উত্তম; যাতে মানসিক পরিতৃপ্তি অর্জিত হয়।
২) প্রশ্ন: লোক্বমা কে দিবে?
উত্তর: যদি নির্দিষ্ট শ্রবণকারী থাকে, তবে সে লোক্বমা দেয়ার পূর্বে অন্য কারো জন্য তড়িঘড়ি করে লোক্বমা না দেয়াই উচিত। কেননা এতে নামাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। অবশ্য যদি নির্দিষ্ট শ্রবণকারী না বলে কিংবা ভালোমতো না বলে তবে সংশোধনের ক্ষমতা সম্পন্ন অন্য কারো জন্য ভুল সংশোধন করা ফরজ। যদি ভুল শুধরে না দেয় তবে গুনাহগার হবে।
৩) প্রশ্ন: হাফিজ এবং সামিঈ পাশাপাশি দাঁড়াতে পারবে কি?
উত্তর: যদি প্রয়োজন হয় (যেমন হাফিজ সাহেব শ্রবণকারীর আওয়াজ দুর থেকে শুনতে পান না) তবে পাশাপাশি দাঁড়াতে পারবেন। অবশ্য প্রয়োজন বিহীন এভাবে দাঁড়ানো অনুচিত।
৪) প্রশ্ন: ভুলে যাওয়ার কারণে নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় কিংবা বসা অবস্থায় থমকে চিন্তা করলে অথবা নির্দিষ্ট তিলাওয়াত ছেড়ে ভুলবশত ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে পড়লে পরবর্তীতে সঠিক পড়ে সালাম ফিরাক কিংবা ভুল পড়ে উভয় অবস্থায় সাহু সেজদা করতে হবে কি?
উত্তর: উভয় অবস্থায় সাহু সেজদা করা উত্তম।
৫) প্রশ্ন: হাফিজকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে সহকারী অনেক সময় পা দিয়ে শব্দ করে, ইচ্ছাকৃত-ভাবে কাশি দেয়, অন্য কোনো ভঙ্গি করে। এমন কাজের হুকুম কি?
উত্তর: এমন কোনো কাজ জায়িয নয়। যেসব কাজ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে, হাদিস শরীফে রাসূল (সা:) এমন কাজ থেকে নিষেধ করেছেন। আবু-দাউদ রহঃ মুয়াবিয়া রা: থেকে বর্ণনা করেন; “ইন্নান নাবিয়্যা সা: নাহা আনিল উগলূতাত” (আরবী লেখার সফটওয়্যার নেই বলে দুঃখিত)