যারা বইয়ের দোকান, যেখানে অনেক কপি কোরআন শরীফও ছিল, পোড়ানোর সাথে হেফাজতকে দোষারোপ করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি। আপনাদের একটু মাথা খাটাতে বলবো।
এই ছবিটা Google Earth থেকে নেয়া। ছবির উপরের দিকে উত্তর দিক। স্বভাবতই দক্ষিণ দিক ঠিক নিচের দিক।
ছবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ দিকের গেট, মানে দক্ষিণ গেটটি মার্ক করা আছে। আরও মার্ক করা আছে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
আমরা সবাই ভিডিওতে দেখেছি বায়তুল মোকাররমের গেটের সামনের দোকানগুলোতে আগুন দেয়া হয়, বই পোড়ানো হয়।
এইবার আপনাদের প্রশান করি, খেয়াল করেছেন বায়তুল মোকাররমের কোন গেটের সামনে। হ্যাঁ, দক্ষিণ গেটের সামনে (https://www.facebook.com/photo.php…)।
এই মানচিত্র ভালো করে দেখুন। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সবচেয়ে কাছে কাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়? বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।
সবাই যদি গতকাল ভিডিওগুলা ভালোভাবে দেখে থাকেন এইটা খুব ভালোভাবে জানার কথা এই জায়গাটা কাদের দখলে ছিল। হ্যাঁ, ঠিক আওয়ামী লীগ কর্মী আর গোপালি পুলিশের দখলে ছিল (https://www.facebook.com/photo.php?v=123772774488571&set=vb.593161887368930&type=2&theater)। এইখানে হেফাজতের কর্মীরা আসার চেষ্টা করলে পিটিয়ে দুইজনকে হত্যা করা হয়। এই ভিডিও নিশ্চয়ই দেখেছেন।
আর হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয় কখন? হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একটি মিছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে পুরানা পল্টন যাওয়ার সময় (https://www.facebook.com/photo.php…)। বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে পুরানা পল্টন যাওয়ার পথে কোনভাবেই এই দক্ষিণ গেটের সামনের রাস্তা ব্যবহার করা লাগে না।
তাহলে কোরআনসহ দোকানগুলো কিভাবে হেফাজতের কর্মীরা পোড়ালো যদি ঐ এলাকায় তো তারা ঢুকতেই পারলো না? একটু মাথা খাটান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে হেফাজত এতোবড় ঘটনা ঘটবে আর আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী চুড়ি পড়ে বসে থাকবে তা কখনই সম্ভব না। শুধুমাত্র তখনই এটা সম্ভব যখন তারা নিজেরাও এই কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে কাজ করবে। কিছু বুঝতে পারছেন? >লেখকঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেসবুকে প্রকাশিত