ভূমিকা> শাহবাগ থেকে যখন হেফাজতের বিরোধিতা করা হয় তখন আমার মন খারাপ হয় না। রক্ত টগবগ করে। প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ফেসবুকে যখন কওমি মাদরাসায় পড়ুয়া ভাইয়েরা বিভিন্ন মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে শাহবাগিদের হাতে সমালোচনার অস্ত্র তুলে দেন, তখন আমার মন খারাপ হয়। ভাবতে থাকি, এদের প্রতিরোধ করবে কে?
আজ অনেকেই দেখছি শেয়ার করেছে, আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী সাহেব কদিন আগে দোয়া করেছিলেন। সেই দোয়ার ফলে আযাব হিসেবে আজ সাভারে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসব প্রচারকদের অনেকেই পরিপূর্ণ মাওলানা টাইটেল লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভালোভাবে যাচাই করলে মুহাদ্দিস কাউকে মিলে যেতে পারে।
একবার ভাবি প্রশ্ন করবো, আপনাদের কাছে কি জিবরাঈল (আঃ) এসে বলে গেছেন দুর্ঘটনার কারন কি! আবার মনে হয় এদের মাথায় যদি উত্তর দেয়ার বুদ্ধি থাকতো, তবে কি আর এভাবে সংবাদ প্রচার করে আল্লামা আহমদ শফিকে হাস্যকর বানাতো।
এভাবে যদি কেউ প্রচার করতো, (ইউসুফ সুলতান ভাই’র লেখা) “যখন সমাজে অপরাধ প্রবণতা ও আল্লাহর নাফরমারি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়, তখন বান্দাকে সতর্ক করার জন্য কখনো কখনো ভূমিধস, ভূমিকম্প, সুনামি, ঘূর্ণিঝড় ও দুর্ভিক্ষের মতো বিপদ নেমে আসে।” তবে কতোই না ভালো হতো।
কিন্তু আমরা আজ বলে বেড়াচ্ছি, আহমদ শফী সাহেবের দোয়ায় রানা প্লাজা ভেঙ্গে পড়েছে।
আল্লাহর ওয়াস্তে একটু সচেতন হন। একটা কথা মনে রাখুন; আহমদ শফী সাহেব কখনোই গরীব খেটে খাওয়া মানুষ মারা যাক এমন দোয়া করবেন না। আপনিও তার সম্মান বাঁড়াতে গিয়ে মিথ্যা কথা বলার প্রয়োজন নেই।
*স্ট্যাটাসটা পরিচিত অনেকের উপর চলে গেলেও কিছু করার নেই। ক্ষমা চাইতে পারবো না।