আজ ২৮ জানুয়ারি ২০১৩ সোমবার জোহরের নামাজ সিলেট শাহজালাল দরগাহ মসজিদের নীচতলায় আদায় করলাম। শেষমুহুর্তে মসজিদে যাওয়ায় শেষ কাতার হতে ২ লাইন আগে জায়গা পেলাম। আমার উভয় পার্শেই মাদরাসার দুই সাথী ভাই ছিলেন। বাম পার্শে যিনি ছিলেন তাঁর কাছে একটা ছেলে সম্ভবত ২৫/৩০ বছরের হবে নামাজে দাঁড়ালো। তাকবীর দেয়ার পরই ছেলেটার মোবাইলে বিকট শব্দে সূর সহ গান বেজে ওঠলো।
এমতাবস্থায় কানে আসলো একটা লোক বলছে : নামাজ ভেঙ্গে মোবাইল বন্ধ করো। মোবাইলের মালিক ছেলেটা তাই করলো। পরবর্তী রাকআতে আবার রিংটোন বেজে ওঠলো। এভাবে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত একাধিকবার বিকট আওয়াজে মুসল্লিরা গান শুনলেন।
সালাম ফিরানোর সাথে সাথেই পুরো মসজিদে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেলো। কেউ বললো ‘মোবাইল চুরি করে এনেছে মনে হয়। তাই বন্ধ করতে পারেনি’। আবার কেউ গালি দিয়ে বললো ‘মসজিদ থেকে এখনি বেরিয়ে যা’।
হঠাৎ পিছন থেকে দাড়িওয়ালা একজন লোক এগিয়ে এসে বললেন মোবাইল দে? নামাজ শেষে দেখবো এটা চুরি করেছিস না তোর মোবাইল। ছেলেটা ভয়ে কিংবা অন্য যেকোনো কারণে মোবাইল দিয়ে দিলো।
একজন পুরুষের জানাযা ছিলো। সবাই জানাযার জন্য দাঁড়িয়ে জানাযা আদায় করলেন। শেষ হতেই যে ব্যক্তি ছেলেটার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে গেছেন তার মোবাইলে নোকিয়া টোন বেজে ওঠলো। আমরা কজন তখন হাসতে হাসতে শেষ। অবশিষ্ট নামাজ শেষ করে দেখলাম ১৫/২০ জন সেই ছেলেকে ঘিরে বসে আছেন। আমি ধীর পায়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে এলাম।