এক বড় ভাই কিছুদিন পূর্বে সজ্জিত খামের ভেতরে একটা চিঠি হাতে দিয়ে বললেন : বাসায় গিয়ে চিঠিটা খুলবেন। বাসায় এসে চিঠিটা ড্রয়ারে রেখে দিয়েছিলাম। দু’দিন পর দেখা হতেই বললেন : পড়েছেন কি? লজ্জিত ভঙ্গিতে বললাম : আমার মনে ছিলো না। আজই বাসায় গিয়ে পড়বো।
বাসায় এসে ড্রয়ার খুলে চিঠিটা বের পড়লাম। ভাবতে পারিনি এমন (!) রকমের চিঠি তিনি দিবেন। উত্তর দেয়ার ব্যাপারে যেহেতু তাড়াহুড়ো ছিলো না এবং সত্যি বলতে উত্তর আমার জানাও ছিলো না। তাই যথাস্থানে চিঠিটা আবার রেখে দিলাম।
কিছুদিন পর আবার দেখা হলে বললাম : পড়েছি। তবে বিষয়টা আমার জন্য নতুন। অনেক ভাবনার প্রয়োজন। উত্তর দিতে সময় লাগবে। তিনি আনন্দ-চিত্তে আমার কথা মেনে নিলেন।
অতঃপর আমিও যথারীতি ভুলে গেলাম আমার কাছে একজনের চিঠি রক্ষিত। সেইসাথে প্রেরক উত্তরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণও।
বিগত সপ্তাহে আবার মনে করিয়ে দিলে সত্যিই লজ্জা অনুভূত হলো। একজন মানুষকে টানা ২ মাস অপেক্ষায় রাখার লজ্জা। কথা দিয়ে রাখতে না পারার লজ্জা। মনে হলো আগেই যদি জানিয়ে দিতাম যে,ভাই : আমি উত্তর দিতে পারবো না। আমার এসব ব্যাপারে জানাশুনা খুবই কম। তবে কতোইনা ভালো হতো!
যাক শেষ পর্যন্ত কিছু একটা লিখলাম।>( যা অবশ্যই ফেসবুকে প্রকাশিত হবে না )। তবে নিজের কাছেই মনে হলো লেখাটা যথাযথ হয়নি। শেষপর্যন্ত প্রেরকের অনুমতি নিলাম যে,নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমি তার চিঠি ফেসবুকে শেয়ার করতে পারি। হয়তো এর মাধ্যমে নতুন কোনো তথ্য বেরিয়ে আসবে।
আমি জানি খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রশ্ন চিঠিতে নেই। তবে আমি মুক্তচিন্তায় অবিশ্বাসী হলেও যেহেতু মুক্ত জ্ঞানে বিশ্বাসী। তাই গুরুত্ব সহকারেই চিঠিটা গ্রহণ করেছি। নিম্নে হুবহু চিঠি তুলে দিলাম। কারো কোনো মন্তব্য থাকলে করতে পারেন।
(শ্রদ্ধেয় বড় ভাই মাসুম আহমদ সাহেব।
কিছুদিন পূর্বে আমি বাড়িতে থাকা কালে টেবিলে বসে কোনো একটি বিষয়ে কয়েক কলাম লিখেছি। কিন্তু আমার অজান্তে আমার কোন বন্ধু আমার এ লেখাটি পাঠ করেন। এরপর আমার ব্যাগের মধ্যে ছোট্র একটি কাগজে কিছু লিখে রেখে দেন। ইতিপূর্বে তা খুলে আমি দেখিনি। কিন্তু গতকাল ব্যাগ থেকে কাগজটি বের করে একটি প্রশ্ন দেখলাম। আর তা হল ‘ভালবাসার শাব্দিক ও আভিধানিক অর্থ কি এবং ইহা কতো প্রকার হতে পারে? বাংলাদেশের মধ্যে ভালবাসার নামে যে নোংরামি চলছে তা এর কোন প্রকারে পড়ে এবং এগুলো জায়েয কিনা?’
বিস্তারিত জানালে আমিও উপকৃত হবো এবং আপনার অন্য ভাইও উপকৃত হবে। তবে আপনার যখন খুশি উত্তর দিলে চলবে। একমাত্র আপনার দেখার অনুমতি আছে অন্যকে দেখাবেন না। ০৯/১১/২০১২ ইসায়ী