এই একটি লাইন পড়েই হয়তো আপনি আমার উপর ক্ষেপে উঠেছেন। আপনি রাগ করতে পারেন; সত্যিই বলছি; আমার এখন আর মন খারাপ হয় না। কেন হয় না লেখার শেষাংশে বলবো ইনশাল্লাহ।
এই দেশে অগণিত ইসলাম বিদ্বেষীর জন্ম হয়েছে। শামসুর রহমান, হুমায়ূন আজাদ, কবীর চৌধুরী, আহমদ শরীফ, দাউদ হায়দার, তাসলিমা নাসরীন, সৈয়দ শামসুল হক, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী…… এদের অধিকাংশ আবার দেশের বিশিষ্ট নাগরিক! বুদ্ধিজীবী! বিভিন্ন সময় তারা উগলে দিয়েছে মনের ভেতরে পুষে রাখা ধর্ম বিদ্বেষ। এদের চেলাচামুণ্ডারা তো আরো একধাপ এগিয়ে।
কিন্তু ১৯৭৪ সালে দাউদ হায়দার আর ১৯৯৪ সালে তাসলিমা নাসরিনকে নির্বাসনে পাঠানো ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যায়নি। ফলে বন্ধ হয়নি বাক স্বাধীনতার নামে ধর্ম-বিদ্বেষী কথাবার্তা। অথচ এই দেশের ৯০% মানুষ মুসলমান। আমরা কি জানি; সময়ের সাথে সাথে ধর্ম বিদ্বেষীদের সংখ্যা বাড়ছে? হয়তো অফলাইনে আমরা জানতে পারছি না। অনলাইনে কিছুক্ষণ ঘুরলেই তো চোখ অন্ধকার হয়ে যায়। মাথা বনবন করে ঘুরতে শুরু করে।
হজ্ব ও মহানবী (সা:) সম্পর্কে লতিফ সিদ্দিকী যেসব কথাবার্তা বলেছে, তাতে তার ঈমান নেই এটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। বরং বলা যায়, তার ঈমান ছিলো না। তবুও তার সমর্থনে দাঁড়িয়ে গেছে বেশ কিছু মানুষ। এরা আবার মুসলমান! হোক না নামধারী, তবুও তো মুসলমান পরিচয় দিয়ে যুক্তির আলোকে ধর্মের ব্যাখ্যা করছে।
যারা অল্প স্বল্প ধর্মীয় বিধান পালন করে, তাদের মানসিকতাও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। আগে উলামায়ে কেরামকে চোখ বুঝে বিশ্বাস করতো, এখন স্বার্থ বিরোধী কিছু বললে বিরোধিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।
এইতো কয়েকবছর মাত্র। তখন আমি ছোট ছিলাম। কিন্তু বেশ মনে আছে; সিলেট শহরে কনসার্ট আয়োজনের কথা কেউ ভাবতে পারতো না। উলামায়ে কেরামের প্রভাব (POWER) কেমন ছিলো বুঝাতে গিয়ে এই উদাহরণটি টানলাম। ধারণা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশর অন্যান্য অঞ্চলেও উলামায়ে কেরামের প্রভাবের কমতি ছিলো না। এখন সিলেটে কনসার্ট হয়। রাজপথে নর্তকী নাচানো নেতা তাফসির মাহফিলের প্রধান অতিথি হয়। মসজিদ কমিটির মূর্খ সভাপতি ইমাম সাহেবকে কুরআন পুড়ানোর অপবাদ দিয়ে বিদায় করে দেয়। কি বুঝলেন? আমি বরং কিছুদিন পর কি অবস্থা হবে ভাবতে গিয়ে শিউরে উঠি।
অতীতে ধর্ম বিদ্বেষীদের শাস্তির দাবিতে কম আন্দোলন হয়নি। প্রাপ্তির খাতা শূন্য বললে কি খুব একটা ভুল হবে? একজন ধর্মের সমালোচনা করবে। আমরা মিছিল করবো। কুশপুত্তলিকা দাহ করবো। কখনো ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দিয়ে সব ভুলে যাবো। কখনো আবার কিছু না পেয়েই ক্ষান্ত হবো। আবার বলবে। আবার পথে নামবো। আবার বলবে………
আচ্ছা; স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবা যায় না। ১/২ টি উদাহরণ স্থাপন করা যায় না, যাতে বেশ কিছুদিনের জন্য তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা চুপসে যায়।
আমরা তো দুর্বল নই। কখনো ছিলাম না। এই তো সেদিন শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলো। প্রশাসন দাবী মেনেও নিলো। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কাঁপা কণ্ঠে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ থেকেও তো স্পষ্ট, চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠেও কম্পন নিয়ে আসা যায়।
ধর্ম বিদ্বেষীদের কথায় আমি মন খারাপ করি না, কারণ আমি জানি; তারা বলবেই। যতক্ষণ তাদের গলায় পা রেখে নিঃশ্বাস বন্ধ করা না যাবে, তারা বলবেই। তারা তো জানে, এদেশের মুসলমানের রক্তে বারুদ নেই। এরা জ্বলে উঠার আগেই নিভে যায়। আমিও জানি, আমরা সাহসী নই। তবে কেন মন খারাপ করবো!!! ফেসবুকে প্রকাশিত