বিশ্বের ইতিহাসে শক্তিশালী গোষ্ঠী কর্তৃক দুর্বল গোষ্ঠীকে আক্রমণ এবং পরাজিত করে গোলামির শেকলে বাঁধার ঘটনা বারংবার ঘটেছে। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠীর সামর্থ্যের সূর্য যতোই সংকুচিত হয়েছে, দুর্বল জনগোষ্ঠী পুনরায় নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করে নিয়েছে।
তবে আধুনিক বিশ্বে শক্তিশালী গোষ্ঠী প্রতিপক্ষের ভূমি কবজা না করেই গোলাম বানিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছে। আর এই দাসত্ব এমন প্রভাব ফেলছে যে, বিজয়ী গোষ্ঠী নিজেদের হারিয়ে ফেললেও তাদের প্রভাব হারিয়ে যাচ্ছে না।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়; ভূমি দখলের মাধ্যমে প্রাপ্ত দাসত্বের প্রভাব যতোটা ক্ষতিকর, সমাজ ও সাংস্কৃতিক দাসত্বের প্রভাব তার চাইতে অনেক বেশি। কেননা সমাজ ও সংস্কৃতিতে স্বাধীন জাতি কখনোই নিজেদের দাসত্ব স্বীকার করে না। বরং সুযোগ পাওয়া মাত্র নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করে নেয়।
কিন্তু সমাজ ও সংস্কৃতিতে দাসত্ব একটি জাতির ভাবনার ক্ষমতাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দেয়।
সামাজিক দাসত্বের স্বীকার জাতি কখনো সমাজকে নিয়ে নিজের মতো ভাবে না, পরিবেশকে নিজের চোখে দেখে না। বরং তার নেতৃত্ব প্রদানকারী জাতি যা ভাবে, সেই ভাবনাকে নিজের জন্য গ্রহণ করে।
ইসলামের চৌদ্দশ সালের ইতিহাসে মুসলমানরা বারংবার ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। রাসূল (সা:) –এর ইন্তেকালের পর ধর্ম ত্যাগের ফিতনা থেকে শুরু করে ১২৫৮ সালে তাতারি সম্প্রদায়ের আক্রমণ, সবকটিই মুসলমানদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র ছিলো। তাতারিরা যখন একের পর এক এলাকা বিজয় করছিলো, মনে হচ্ছিলো এই ধ্বংসলীলা রুখে দাঁড়ানোর সামর্থ্য কারো নেই। কেননা একটি জাতির জন্য এরচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কি হতে পারে যে; তাদের দারুল খিলাফাতের একেকটি ইট চূর্ণ চূর্ণ করে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু মুসলমানরা হিম্মত হারাননি। জিহাদের মাধ্যমে তাতারিদের পরাজিত করেছিলেন। চলবে……… ফেসবুকে প্রকাশিত