তাহির উল কাদরী (১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১) পাকিস্তানের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। “পিএইচডি” ডিগ্রীধারী এই ব্যক্তি তার ভক্তবৃন্দের কাছে “শায়খুল ইসলাম ডঃ মুহাম্মাদ তাহির উল কাদরী” নামে পরিচিত। কুরআন, হাদিস, ফিক্বহ, ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর তার লিখিত ৫০০ –এর অধিক গ্রন্থ রয়েছে।
তাহির উল কাদরী ১৯৭৪ সালে লাহোরের “ইউনিভার্সিটি অফ দ্যা পাঞ্জাব” হতে আইন শাস্ত্রে ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৮-১৯৮৩ সালে তিনি “পিএইচডি” সম্পন্ন করেন। শিক্ষাবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ, সুবক্তা, সুলেখক, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ হিসেবে পাকিস্তানে তিনি বেশ জনপ্রিয়।
তার লেখনী ও বক্তব্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। কয়েক বছর পূর্বে তার লেখা কয়েকটি বই পেয়ে পড়েছিলাম। অতঃপর আমি এই কারণে হতাশ হয়েছিলাম যে, এতো বড় একজন ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে আমি এতোদিন কেন জানতে পারি্নি। পরবর্তীতে নাসিম আবু ফারহান ভাইসহ আরও কিছু ভাই আমার ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাহির উল কাদরির ভ্রান্ত বিশ্বাস সম্বন্ধে তখন জানা হয়েছিলো।
তবে তার সম্পর্কে কৌতূহলের অভাব ছিলো না। অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পেরেছিলাম, আবদুল লতীফ পীর সাহেব ফুলতলির আমন্ত্রনে বাংলাদেশেও তিনি আগমন করেছিলেন। সিলেট আলিয়া মাদরাসা ময়দানে বক্তব্য রেখেছিলেন।
পাকিস্তান ফেরত আমার এক উস্তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম যে, পাকিস্তানে তার লাখো লাখো ভক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে তার জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত উগ্র সমর্থকেরও অভাব নেই।
অদ্ভুত কিছু কাহিনীও শুনেছিলাম। এর একটি হচ্ছে> একবার ডঃ তাহির উল কাদরী তার ভক্তদের কাছ থেকে কয়েকশ কোটি টাকা লুণ্ঠন করেছিলেন। যদিও মূর্খ ভক্তদের সেই লুণ্ঠন সম্বন্ধে বুঝতে পারার মতো মস্তিষ্ক ছিলো না।
ঘটনা হচ্ছে; তাহির উল কাদরী একবার ঘোষণা করেন যে, “স্বপ্নযোগে রাসূল (সা:) এর সাথে তার সাক্ষাত হয়েছে। রাসূল (সা:) তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি পাকিস্তান ভ্রমণে আসছেন। তাহির উল কাদরী যেন তার মেহমানদারির ব্যবস্থা করেন। অতএব যারা রাসূল (সা:) এর মেহমানদারিতে অংশ নিতে চান, তারা যেন তাহির উল কাদরির ফাণ্ডে টাকা জমা দেন”।
আল্লাহ তায়ালার রাসূলের মেহমানদারি বলে কথা। রাসূল (সা:) যে কোনো জায়গায় আগমন করতে পারেন, এমন বিশ্বাসে বিশ্বাসী মানুষেরা উদার হস্তে তাহির উল কাদরির ফাণ্ডে টাকা জমা দেন। এভাবে কয়েকশ কোটি টাকা সঞ্চিত হয়। পরবর্তীতে কবে কোথায় রাসূল (সা:) আগমন করেছিলেন কেউ জানতে পারেনি। চলবে……… ২২ আগস্ট, ২০১৪ ফেসবুকে প্রকাশিত