(১)
বিগত ১৩ আগস্ট বুধবার হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহ মাদরাসায় আয়োজিত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে হাফিজ আবদুল হক (দা: বাঃ) –এর সাথে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছিলো। সৌভাগ্য বলার কারণ হচ্ছে, আবদুল হক (দা: বাঃ) –এর সাথে সাক্ষাত করে দোয়া নেয়ার আমার বেশ ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু কাউকে সেই ইচ্ছের কথা বলিনি।
বুধবার সকালে আচমকা একটি ফোন আসলো। আবদুল হক সাহেবের সঙ্গী, বেশ পুরনো পরিচিত একজন, আমাদের এলাকার ইমাম সাহেবের কাছ থেকে আমার নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন করে বললেন; আপনি কি দরগাহ মাদরাসায় একবার আসতে পারবেন? বললাম; কেন! বললেন; আপনাকে দেখতে চাই।
একটু দূরে ছিলাম। যোহরের পূর্বে মাদরাসায় গেলাম। ফোন-দাতার সাথে সাক্ষাত হলো। তিনি টেনে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পেলো।
আমি কিছু বলতে পারিনি। তিনিই জানতে চাইলেন; কেমন আছি? কি করছি? ……? কিছু কথা বললেন। ব্যাস; দোয়া নিয়ে চলে আসলাম।
(২)
জামেয়া দারুল উলূম বরুনী বিশ্বনাথ মাদরাসার উদ্যোগে আয়োজিত “হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা” উপলক্ষে ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বরুনী মাদরাসায় গিয়েছিলাম। ৩০/১৫ পারা মিলিয়ে প্রায় ৫৫/৬০ জন প্রতিযোগী ছিলেন। আয়োজকরা বেশ সম্মানের সাথেই বসিয়েছিলেন। কিন্তু পুরো সময় ধৈর্য ধরে বসতে পারিনি। আল্লাহ তায়ালা আমায় ক্ষমা করুন! কুরআনের মজলিস থেকে বেশ কয়েকবার উঠতে বাধ্য হয়েছি।
আমার ধারণা ভুল না হলে, প্রায় ৮৫% প্রতিযোগী “শায়খ সিদ্দিক আল মিনশাওয়ী রহঃ” এর কণ্ঠে তিলাওয়াত করেছেন। একই সুরে এতো মানুষের তিলাওয়াত শুনে কিছুটা কষ্ট লেগেছে। পৃথিবীতে কি অনুসরণ-যোগ্য অন্য কারো তিলাওয়াত নেই! সবাইকে একই সুরে পড়তে হবে কেন!
বৈচিত্র্যময় তিলাওয়াত আমায় বেশ আকৃষ্ট করে। আরো অনেককে করে। সেই হিসেবে একই কণ্ঠে এতো মানুষের তিলাওয়াত শুনে খুব খুশী হতে পারিনি।
(৩)
এমনিতে ঘুরে বেড়াতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু বিগত সপ্তাহে ভ্রমণ করতে গিয়ে বিরক্তিই এসে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে জগন্নাথপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ, মৌলভী বাজার, বরুণা, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, বিশ্বনাথ, বিয়ানী বাজার, গোলাপগঞ্জ, আমাদের গ্রামের বাড়ীসহ আরও কিছু জায়গায় যাওয়া হয়েছিলো। সত্যি বলতে, বেশ কষ্ট হয়েছে।
দীর্ঘ আড়াই মাসের ছুটি আগামীকাল শেষ হতে যাচ্ছে। ভাবতে ভালো লাগছে যে, অবশেষে পড়াশুনার জগতে ফিরে আসছি। সব আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছে। ফেসবুকে প্রকাশিত