সাগরের উত্তাল তরঙ্গ আর নদীর কলকল ধ্বনি। বাতাসের উন্মত্ত অস্থিরতা আর আকাশের ভয়াবহ গর্জন। পাহাড়ের ভীতিকর দেহ আর আগুনের লেলিহান শিখা। প্রকৃতির ছোঁয়ায় নিশ্চিত তুমি সৃষ্টিকর্তার অগণিত নিদর্শন দেখতে পাবে।
সাগরের উত্তাল তরঙ্গে হৃদয় কেঁপে উঠে সত্য। পালিয়ে যেতে মন চায়। তীব্র গর্জন শুনে মনে হয় এই বুঝি আমায় জড়িয়ে ধরলো। সে এক ভয়ানক মুহূর্ত। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য হলেও তখন স্রষ্টার কথা স্মরণ হয়।
বাতাসের শা শা ধ্বনি আর তীব্র গতি কখনো কখনো উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায়। কল্পনায় আসে, আমি কাগজের টুকরো কিংবা খড়কুটোর ন্যায় হাওয়ায় উড়ে আরব সাগর কিংবা আফ্রিকার জঙ্গলে পৌঁছে যাচ্ছি। যেখানে কেউ নেই। তবুও বাতাসকে ঘৃণা করতে পারি না। এ যে স্রষ্টার এমন এক উপহার, যার মাধ্যমে জীবজগতের অস্তিত্ব অস্তিমান। মাত্র ৫ সেকেন্ডের জন্য যদি থমকে যায়, তবে যা হবে তা কল্পনা করতে কল্পনাও শিউরে উঠবে।
আসুন! একটু দেখি> (১) সমুদ্র সৈকতে যারা রৌদ্রস্নানে থাকবেন, তাদের দেহের ত্বক মুহূর্তের মাঝে সূর্যের আলোতে পুড়ে যাবে। কারণ বাতাসে থাকা অক্সিজেন অণু সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। (২) দিনের আকাশ পুরোপুরিভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। (৩) পৃথিবী পৃষ্ঠ টুকরো টুকরো হয়ে যেতে শুরু করবে। (৪) অক্সিজেন না থাকাতে বায়ুর চাপ ২১ ভাগ হ্রাস পাবে। আর এর ফলে সব প্রাণীর অন্তঃকর্ণ বা কানের ভেতরের অংশ বিস্ফোরিত হবে! (৫) কংক্রিটের তৈরি প্রতিটি ভবন বিধ্বস্ত হবে। (৬) পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরসহ সব জলাশয় বাষ্পীভূত হয়ে মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাবে। (৭) পৃথিবী নামক এ গ্রহ পরিণত হবে এক মৃত্যুপুরীতে।
বিশাল দেহধারী পাহাড়ের পাদদেশে চলতে গেলে অদ্ভুত কষ্ট জড়িয়ে ধরে। তবুও পাহাড় বিহীন পৃথিবী আমরা কল্পনা করতে পারি না। গোলাকার পৃথিবীর স্থিরতার জন্য মহান স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি যে পর্বতমালা…… ফেসবুকে প্রকাশিত