বেশ কিছুদিন যাবত বিভিন্ন মিডিয়ার মতানৈক্য, পারস্পরিক বিদ্বেষের নোংরা অপপ্রচার চলছে। প্রথম আলো বনাম কালের কণ্ঠ> কালের কণ্ঠ বনাম যুগান্তর> এটিএন নিউজ বনাম একাত্তর টিভি। ফখরুদ্দিন, মইনুদ্দিন সরকারের সময় উল্লেখযোগ্য কিছু মিডিয়া সংস্থার দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা তো স্বীকৃত।
মিডিয়া হাউসের পারস্পরিক বিরোধের কারণে এখন দেশের আভ্যন্তরীণ অবস্থা চরম বিপর্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। অথচ একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হচ্ছে মিডিয়া হাউজ। সন্দেহ নেই, প্রয়োজনের মুহূর্তে মিডিয়া সংস্থাগুলোর এই নিরীহ ভাবমূর্তি দেশকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সাধারণ জনতা এখন কোনো পত্রিকা কিংবা চ্যানেলকে বিশ্বাস করতে পারছে না। তিলকে তাল করে প্রচারের রীতি আজ মিডিয়াকে হাস্যকর সংস্থায় পরিণত করেছে।
হয়তো কোনো একটি মিডিয়াকে জনতা একটু বেশিই অপছন্দ করে, কোনটিকে কম। কারণ পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় এমন একটি মিডিয়া হাউস এখন বাংলাদেশে নেই।
মিডিয়া শব্দের মাঝে নিরপেক্ষতার অর্থ নিহিত। মিডিয়াকে সাধারণ জনতার অবিচল আস্থার প্রতীক হিসেবে ভাবা হয়। কিন্তু সেই আস্থার জায়গা আজ বড্ড নড়বড়ে।
একটি ইস্যুকে হয়তো কোনো মিডিয়া ফলাও করে। অন্য মিডিয়া বিপক্ষে নিউজ সেটিকে গুরুত্বহীন বানিয়ে তুলে। একসময় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সেই সংবাদগুলো হয়ে উঠে হাঁসির উপকরণ। অথচ এসব কর্মের বদলে জাতির কি উপকার হচ্ছে সেই খেয়াল কজন রাখছে!
দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট আসলে সেটি আড়াল করতে পাঁচটি নিউজ হচ্ছে। ফলে নিরপেক্ষতার জায়গাটা আজ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে মিডিয়ার প্রভাব সবসময়ই পরিলক্ষিত। দেশ ও দশের স্বার্থে বিভিন্ন দেশের মিডিয়া হাউজের কর্মকাণ্ডের পাঁশে আমাদের মিডিয়াগুলোর মিউ মিউ আওয়াজ একরাশ হতাশাই কেবল উপহার দিচ্ছে। বাংলাদেশী জনতার জন্য এ এক অশনি সংকেত। ফেসবুকে প্রকাশিত