১১) দোয়ার পূর্বে হিদায়াতি বয়ানে মাওলানা সাদ সাহেব “ইলম” সংক্রান্ত আলোচনায় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলেছিলেন। ভালো লাগাতে নোট করেছিলাম। উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে দিলাম।
>উলামাদের সাথে সাক্ষাতকে নিজের জন্য ইবাদত মনে করবেন।
>উলামায়ে কেরামকে ঘৃণা করার অর্থ “ইলম” কে ঘৃণা করা। আর “ইলম” কে ঘৃণা করা নামাজকে ঘৃণা করার মতো। যে নামাজকে ঘৃণা করে সে ইমানদার হতে পারবে না। সুতরাং উলামায়ে কেরামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে কেউ ইমানদার হতে পারবে না।
>পদে পদে উলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে চলা জরুরী।
>আমাদের কারো কারো মাঝে এই ভুল ধারণা কাজ করে থাকে। বাস্তবিক উলামায়ে কেরামের কেউই তাবলীগের বিরুদ্ধে নন।
>অপরিচিত মানুষের সংস্পর্শে “ইকরাম” এর দীক্ষা হয়।
>পৃথিবীর সবরকমের জ্ঞানকে “ইলম” বলা যাবে না। শুধুমাত্র আল্লাহ্ তায়ালার ইচ্ছা এবং রাসূল সা. এর দেখানো পথে অর্জিত জ্ঞানই হচ্ছে “ইলম”।
১২) ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার ইজতেমা ময়দানের পার্শে অবস্থিত একটি মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে ময়দানে এসে দেখি নামাজ চলছে। সিলেটীদের অবস্থান ছিলো পশ্চিম পার্শে। ফলে সবসময় পশ্চিমের রাস্তা দিয়ে বাইরে যেতাম। পশ্চিম প্রান্তে রাস্তা সংলগ্ন তুরাগ নদীর তীরে কিছু মানুষ তাঁবু টাঙ্গিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।
দেখলাম ইমাম সাহেবের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু মানুষ নামাজ পড়ছেন। কিছু সময়ের মধ্যেই লাঠি হাতে কয়েকজন যুবক নামাজ্ররত মুসল্লিদের কাছে এসে বললেন; আপনাদের নামাজ হবে না। আপনারা ইমাম সাহেবের আগে চলে গেছেন।
তখন এক ব্যক্তি ছাড়া সবাই নামাজ ভেঙ্গে ফেললেন। সেই লোকটিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছেলেরা তখন বলেই চলছে; বাবা! নামাজ হবে না। ভেঙ্গে ফেলুন বাবা। আপনার নামাজ হবে না। আমার সহপাঠী ওয়ালী উল্লাহ ভাইও তাঁদের সাথে সূর মিলিয়ে নামাজ ভাঙ্গার অনুরোধ করলেন। কিন্তু কে কার কথা মানে। এভাবেই তিনি নামাজ শেষ করলেন। যখন বলা হলো, আপনি আবার নামাজ পড়ুন। তিনি আর পড়বেন না। আমরা তখন চলে এলাম। পথে বারংবার মনে হলো; আহ! অজ্ঞতা মানুষকে কোথায় পৌঁছে দেয়!!!
>ইজতেমার বিশেষ নোটবুক থেকে…… সমাপ্ত। ফেসবুকে প্রকাশিত