পয়েন্ট ১) ইসলামের কয়েক লক্ষ কর্মী ইতিমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ঢাকার বিভিন্ন মাদরাসায় কথা বলে জানা গেছে প্রায় সবগুলো মাদরাসা নেতাকর্মী দ্বারা পূর্ণ।
পয়েন্ট ২) ঘাদানিক,গণজাগরণ মঞ্চ,সেক্টর ফোরামের নামে সরকার যে হেফাজতের কর্মীদের বাঁধা দিয়েছে বিষয়টি পরিষ্কার।
বিশ্লেষণ> হেফাজতে ইসলাম সরকার বিরোধী সংগঠন নয়। তাঁরা কখনোই সরকার পতনের আন্দোলন করতো না। হেফাজতে ইসলামের একমাত্র উদ্দেশ্যে ছিলো ঢাকায় সমাবেশ করে দেখিয়ে দেয়া যে,দেশের মানুষ ইসলাম চায়।
হরতাল আহ্বান করায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিন রাতেই বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। ফলে হেফাজতে ইসলাম যথেষ্ট মানুষ নিয়েই তাঁদের সমাবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন সরকার বাঁধা দেয়ায় একাধিকে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশ করবে,অন্যদিকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মতো একটা ইস্যুও পাবে।
বিশ্ব মিডিয়ায় বাঁধা দেয়ার পরও এতো কর্মীর উপস্থিতি নিয়ে সাড়া পড়বে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হেফাজতের কর্মীরা জেলা-ভিত্তিক কর্মসূচীর ফলে সুসংগঠিত হয়ে যাবে। ফলে মানতে না চাইলেও সরকার পড়বে বেকায়দায়।
অথচ সরকারের কৌশলে হেফাজতে ইসলামকে মোকাবেলা করার সুযোগ ছিলো। তারা লংমার্চে সহযোগিতা করলে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের একটা সহানুভূতি তাদের প্রতি মানবিক কারণেই জাগ্রত হতো। লংমার্চ শেষে হরতাল ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচী দেয়ার সুযোগ থাকতো না। আর কওমি মাদরাসার উলামাগন কখনোই একটানা হরতাল দিয়ে দেশের মানুষকে বিপাকে ফেলতেন না। ফলে সরকার বিশাল একটা ঝামেলা সহজে এড়িয়ে যেতো। কিন্তু বামপন্থী ভুত কাঁধে বহন করছে সরকার। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বারবার জট পাকাচ্ছে। April 6, 2013